Class 8 Geography New Model Activity task Answer

 ১.১ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো।

ক) অস্তঃকেন্দ্রমণ্ডল – পদার্থের তরল অবস্থা
খ) বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল – পদার্থের ঘনত্ব সর্বাধিক
গ) অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার – পরিচলন স্রোতের সৃষ্টি
ঘ) ভূত্বক – লোহা ও নিকেলের আধিক্য -

উত্তর- গ) অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার – পরিচলন স্রোতের সৃষ্টি

১.২ রকি ও আন্দিজ পর্বতমালার সৃষ্টি হয়েছে-

ক) মহাসাগরীয় – মহাসাগরীয় অপসারী পাতসীমানা বরাবর -
খ) মহাসাগরীয় – মহাসাগরীয় অভিসারী পাতসীমানা বরাবর
গ) মহাদেশীয় – মহাদেশীয় অভিসারী পাতসীমানা বরাবর
ঘ) মহাদেশীয় – মহাসাগরীয় অভিসারী পাতসীমানা বরাবর

উত্তরঘ) মহাদেশীয় – মহাসাগরীয় অভিসারী পাতসীমানা বরাবর

১.৩ উত্তর ভারতের স্থলভাগের সীমানা রয়েছে -

ক) পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে
খ) নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে
গ) বাংলাদেশ ও ভুটানের সঙ্গে
ঘ) মায়ানমার ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে

উত্তর-  খ) নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে

2

২.১ কোন যন্ত্রের সাহায্যে ভূমিকম্পের তীব্রতা পরিমাপ করা হয়?

উত্তর-সিসমোগ্রাফ

২.২ কোন প্রকার শিলার স্তরে খনিজ তেল পাওয়া যায়?


উত্তর-পাললিক শিলা

২.৩ ভারতের কোন প্রতিবেশী দেশ মশলা উৎপাদনে বিখ্যাত?


উত্তর-শ্রীলঙ্কা


3

৩.১ ভূ-অভ্যস্তরের কোন স্তরে কীভাবে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়েছে?

উত্তর-বহিঃকেন্দ্রমণ্ডলে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়েছে।সৃষ্টির প্রক্রিয়া তা নীচে আলোচিত করা হলো-

          বহিঃকেন্দ্রমণ্ডলে চাপ ,তাপ,ও ঘনত্ব অন্তকেন্দ্রমণ্ডলের তুলনায় কম।এই স্তর অর্ধকঠিন অবস্থায় থাকায় পৃথিবীর অক্ষের চারদিকে ঘুরছে।সান্দ্র অবস্থায় থাকা লোহা প্রচন্ড গতিতে ঘুরতে ঘুরতে বৈদ‍্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি করেছে ,এবং সেখান থেকেই সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবীর চুম্বক ক্ষেত্র।


৩.২ অভিসারী পাতসীমানাকে কেন বিনাশকারী পাতসীমানা বলা হয় তা উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো।

উত্তর - অভিসারী পাতসীমান্তকে ‘বিনাশকারী পাত সীমান্ত’ বলার কারণ—

■. মহাদেশীয় ও মহাসাগরীয় পাত পরস্পরের দিকে অগ্রসর হলে ভারী মহাসাগরীয় পাত, মহাদেশীয় পাতের নীচে প্রবেশ করে ও সামুদ্রিক খাত সৃষ্টি করে। যেমন— প্রশান্ত মহাসাগরের মারিয়ানা খাত।

■.  নিমজ্জিত পাতের কিছু অংশ অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারে প্রবেশ করে অত্যধিক উন্নতায় গলতে থাকে। 

           এইভাবে দুটি পাতের সংঘর্ষ হলে নিমজ্জিত অংশটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। তাই অভিসারী পাতসীমানাকে বিনাশকারী
পাতসীমানা বা ধ্বংসাত্মক(Destructive Plate Margin) বলে। 


৪. উদাহরণসহ উৎপত্তি অনুসারে আগ্নেয়শিলার শ্রেণিবিভাগ করো।

উত্তর- : উৎপত্তি ও গঠন অনুসারে আগ্নেয় শিলাকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-


1. নিঃসারী আগ্নেয় শিলা (Extrusive Igneous Rock)

ভূঅভ্যন্তরের তাপ ও চাপের তারতম্যের ফলে উত্তপ্ত তরল ম্যাগমা ভূত্বকে আগ্নেয়গিরি বা ফাটলের মধ্যে দিয়ে ভূপৃষ্ঠে লাভারূপে নির্গত হয়। শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এই লাভা দ্রুত শীতল ও কঠিন হয়ে যে শিলার সৃষ্টি করে, তাকে নিঃসারী আগ্নেয় শিলা বলে। খুব দ্রুত জমাট বাঁধে বলে এর দানাগুলো খুব সূক্ষ্ম হয়। উদাহরণ : ব্যাসল্ট।

2. উদ্‌বেধী আগ্নেয় শিলা (Intrusive Igneous Rock) :

ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা অনেক সময় ভূপৃষ্ঠে পৌছোতে না পেরে ভূ-অভ্যস্তরে ফাটলের মধ্যে সঞ্চিত হয় এবং ধীরে ধীরে শীতল ও কঠিন হয়ে যে শিলার সৃষ্টি করে, তাকে উদ্‌বেধী আগ্নেয় শিলা বলে। ধীরে ধীরে জমাট বাঁধে বলে কণাগুলি বড়ো আকৃতির হয়। উদাহরণ : গ্রানাইট।

উৎপত্তিস্থলে শিলার গভীরতার ভিত্তিতে এই শিলাকে দুভাগে ভাগ করা যায়। যথা—

(i) পাতালিক শিলা (Plutonic Rock) : যে শিলা ভূপৃষ্ঠের অনেক নীচে (10 কিমি অধিক) ম্যাগমা জমাটবদ্ধ হয়ে সৃষ্টি হয়, তাকে পাতালিক শিলা বলে। এই শিলা ধীরে ধীরে শীতল হয় বলে এর কণাগুলি বড়ো আকৃতির হয়। তাই এদের কেলাসিত শিলাও (Crystalline Rock) বলা হয়। উদাহরণ : গ্রানাইট, গ্যাব্রো, পেরিডোটাইট

(ii) উপপাতালিক শিলা (Hypabyssal Rock) : যেসব উদ্‌বেধী শিলা ভূপৃষ্ঠের খুব কাছাকাছি ম্যাগমা জমাটবদ্ধ হয়ে সৃষ্টি হয়, তাকে উপপাতালিক শিলা বলে। অতি দ্রুত শীতল ও জমাটবদ্ধ হয় বলে এই প্রকার শিলার কণাগুলি অপেক্ষাকৃত সূক্ষ্ম আকৃতির হয়।

উদাহরণ : পরফাইরি, ডোলেরাইট।

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

হড়পা বান (Flash Flood): হড়পা বান কাকে বলে, ইহার বৈশিষ্ট্য ও কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে

মৌসুমি বিস্ফোরণ কাকে বলে ? মৌসুমি বিস্ফোরণের উৎপত্তির কারণ গুলি আলোচনা কর

চলক ও ধ্রুবকের মধ্যে পার্থক্য (Difference between Variable and Constant)