Posts

Showing posts from June 27, 2021

General Knowledge (Part-4)

Loading…

জ্বালামুখ কী,ক্যালডেরা কী,

Image
  i) জ্বালামুখ (Craters) : আগ্নেয়গিরির শীর্ষদেশে অবস্থিত যে ছিদ্রপথের মাধ্যমে অগ্ন্যুৎপাত ঘটে তাকে জ্বালামুখ বলে। সুতরাং জ্বালামুখ হল আগ্নেয়গিরির নির্গমন নল বা আগ্নেয় গ্রীবার বাইরের অংশ। জ্বালামুখ বতুলাকার বা ফাদলাকৃতির হয়ে থাকে (গ্রিক Crater শব্দের অর্থ Cup বা bowl) জ্বালামুখ কয়েক মিটার থেকে কয়েক কিলোমিটার ব্যাসের হতে পারে। পৃথিবীর বৃহত্তম জ্বালামুখ হল মৌনালোয়া আগ্নেয়গিরির কিলাউয়া শৃঙ্গের জ্বালামুখ (ব্যাস 5 কিমি.)। উৎপত্তি অনুসারে জ্বালামুখ তিন প্রকারের। যথা–(1) বিস্ফোরিত জ্বালামুখ, (2) কিনারা উঁচু জ্বালামুখ বা বলয় জ্বালামুখ এবং (3) ধস বা নিমজ্জিত জ্বালামুখ বা পিট জ্বালামুখ। ii) ক্যালডেরা (Caldera) : ‘ ক্যালডেরা’ একটি স্পেনীয় শব্দ, যার অর্থ বৃহৎ সদৃশ অগভীর জ্বালামুখ। অর্থাৎ সাধারণভাবে বলা যায় বিভিন্ন কারণে আগ্নেয় শঙ্কুর ঊর্ধ্বাংশ অপসারিত হলে আগ্নেয়গিরির চূড়ায় যে খাড়া পাড়ওয়ালা জ্বালামুখ অপেক্ষা কয়েকগুণ বৃহৎ আয়তন বিশিষ্ট গহ্বর সৃষ্টি হয় তাকে ক্যালডেরা বলে। বৃত্তাকার বা উপবৃত্তাকার আকৃতিবিশিষ্ট ক্যালডেরার ব্যাস 15-25 কিমি. হয়। পৃথিবীর বৃহত্তম ক্যালডেরা হল জাপানের ক

উদ্‌বেধী আগ্নেয়চ্ছ্বাসের ফলে গঠিত ভূমিরূপ সমূহ (Landforms associated with Intrusive Volcanicity)

উদ্‌বেধী আগ্নেয়চ্ছ্বাসের ফলে গঠিত ভূমিরূপ সমূহ (Landforms associated with Intrusive Volcanicity) : অনেক সময় ভূ-গর্ভস্থ ম্যাগমা ভূ-পৃষ্ঠে পৌঁছাতে না পেরে ভূ-ত্বকের ফাটলের মধ্যে জমাট বেধে নানারকম ভূমিরূপ গঠন করে। এই ধরনের ভূমিরূপকে উদ্‌বেদী আগ্নেয়চ্ছ্বাসের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ বলে। এই জাতীয় ভূমিরূপ গম্বুজের ন্যায় সমান্তরাল পাতের ন্যায়, বা লেন্সের ন্যায় হয়ে থাকে। এই ধরনের ভূমিরূপগুলিকে উদ্‌বেদী আগ্নেয় উদ্ভেদ (Intrusive Volcanic Out Crop) বলে। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির ক্ষয়কার্যের ফলে ভূঅভ্যন্তরস্থ আগ্নেয় উদ্ভেদগুলো ভূপৃষ্ঠে উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। এই জাতীয় ভূমিরূপগুলি হল— a) ডাইক (Dyke) : ভূ-ত্বকের মধ্যে ম্যাগমা শিলাস্তরের অসমান্তরালে ঊর্থাৎ উল্লম্বভাবে ফাটলের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে যে সরু পাতের উদ্‌বেদী অবয়ব বা ভূমিরূপ গঠন করে তাকে ডাইক বলে। এটি উল্লম্ব বা তীর্যকভাবে অবস্থান করে, এটি 1-10 মিটার চওড়া হয়, ডাইক যদি ক্ষয় প্রতিরোধী হয় তবে শৈলশিরাও দুর্বল হলে ভূপৃষ্ঠে দীর্ঘ খাত গঠন করে। উত্তর-পশ্চিম স্ক্যান্ডের বিশেষত মাল্ (Mull) ও অ্যারন (Arran) দ্বীপে শত শত ডাইক দেখা যায়

বিস্ফোরক বা কেন্দ্রীয় অগ্ন্যুৎপাতের শ্রেণীবিভাগ(Classification of Explosive or Central Eruption)

  বিস্ফোরক বা কেন্দ্রীয় অগ্ন্যুৎপাত (Explosive or Central Eruption): ভূ-অভ্যন্তরের ম্যাগমা চেম্বার বা ম্যাগমা প্রকোষ্ঠ থেকে লাভা বা ম্যাগমা যখন কোনো পাইপের মতো দীর্ঘাকৃতির পথের মাধ্যমে বৃত্তাকার বা উপবৃত্তাকার এক বা একাধিক জ্বালামুখের মধ্য দিয়ে ভূপৃষ্ঠে নির্গত হয় তখন সেই অগ্ন্যুৎপাতকে কেন্দ্রীয় অগ্ন্যুৎপাত বলে। জ্বালামুখের মাধ্যমে এই অগ্ন্যুৎপাত হয় বলে একে জ্বালামুখ অগ্ন্যুৎপাতও বলে। একটি কেন্দ্রীয় উদ্গীরণ নল এবং স্বল্প আয়তনের জ্বালা মুখ দিয়ে ভূ-অভ্যন্তরের তরল ও গ্যাসীয় পদার্থসমূহ বের হয়ে এরূপ অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়। এগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ গ্যাস ও লাভা এত জোরে উৎক্ষিপ্ত হয় যে, আকাশে হাজার হাজার মিটার উঁচুতে পর্যন্ত যেতে পারে। এসব উৎক্ষিপ্ত পদার্থ নীচে নেমে এসে আগ্নেয় জ্বালামুখের চারপাশে বিভিন্ন আকার আকৃতিতে জমাট বেঁধে বিভিন্ন ধরনের ঢালবিশিষ্ট উচ্চভূমির সৃষ্টি করে। এধরনের অগ্ন্যুৎপাত ধ্বংসাত্মক এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণ হয়ে থাকে। তাই কেন্দ্রীয় অগ্ন্যুৎপাতকে বিস্ফোরক অগ্ন্যুৎপাত (Explosive Eruption) ও বলা হয়ে থাকে। এই অগ্ন্যুৎপাতকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে—  ◆◆ ) হাওয়

বিদার বা শাস্ত অগ্ন্যুৎপাতের শ্রেনীবিভাগ(Fissure or Quiet Eruption)

A .  বিদার বা শাস্ত অগ্ন্যুৎপাত (Fissure or Quiet Eruption ) যে অগ্ন্যুৎপাতে ভূ-অভ্যন্তরস্থ লাভা জ্বালামুখ দিয়ে নির্গত না হয়ে ভূত্বকের দীর্ঘ ও গভীর ফাটল বা ফিসারের মধ্য দিয়ে নির্গত হয় তাকে বিদার অগ্ন্যুৎপাত বলে। এই অগ্ন্যুৎপাতে বিপুল পরিমাণ লাভা নিঃশব্দে নির্গত হয়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। ভারতের দাক্ষিণাত্য মালভূমি, পূর্ব আফ্রিকার গ্রস্ত উপত্যকা প্রভৃতি অঞ্চলে বিদার অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছে। এই জাতীয় অগ্ন্যুৎপাত তিন ধরনের হয়ে থাকে চিত্র: বিদার বা শাস্ত অগ্ন্যুৎপাত বিদার শ্রেণির 1)   লাভা প্রবাহ (Lava Flow) : বিদার অগ্ন্যুৎপাতের সময় বিপুল পরিমাণ লাভা ভূগর্ভ থেকে নিঃসৃত হয়ে বিস্তৃত অঞ্চল প্লাবিত করে। জল প্রবাহের অনুরূপ এ ধরনের লাভাকে লাভা প্রবাহ বলে। সাধারণত ক্ষারকীয় লাভা যাতে সিলিকার পরিমাণ কম (45% 50%) সে ধরনের লাভাই এরূপ প্রবাহ ঘটাতে পারে। কারণ ক্ষারকীয় লাভা অত্যস্ত তরল এবং অপেক্ষাকৃত উচ্চ তাপমাত্রায় থাকে। আম্লিক লাভা, যেমন- রায়োলাইটে সিলিকার অনুপাত অনেক বেশি (>90%) এবং সেগুলো অত্যন্ত ঘন, চটচটে এবং আঠালো। জ্বালামুখের থেকে কিছুদূর যেতে না যেতে এগুলো জমে যায়। 2) ফিউমা

আগ্নেয়গিরির বিভিন্ন অংশ (Different Parts of Volcano)

Image
আগ্নেয়গিরির বিভিন্ন অংশ (Different Parts of Volcano) : কোনো ফাটল (Crack) বা বিদার (Fissure) পথে ভূ-অভ্যন্তর থেকে গলিত তরল ধাতব পদার্থ (ম্যাগমা), শিলাচূর্ণ, প্রস্তরখণ্ড প্রভৃতি নির্গত হয়ে জমাট বেঁধে শঙ্কু আকৃতির আগ্নেয়গিরি গঠন করে। সেই আগ্নেয়গিরির নিম্নলিি অংশগুলি দেখতে পাওয়া যায়। যেমন— ( ক) জ্বালামুখ (Crater) : আগ্নেয়গিরির শীর্ষদেশের ঠিক মধ্যভাগে একটি ছিদ্রপথ (Vent) থাকে, যার মাধ্যমে অগ্ন্যুৎপাত হয় অর্থাৎ ভূগর্ভের লাভা বেরিয়ে আসে, তাকে জ্বালামুখ (Crater) বলে (Greck: Crater – অর্থ Cup or Bowl)। জ্বালামুখ গোলাকার বা অর্ধগোলাকার অর্থাৎ ফানেলাকৃতির হয়ে থাকে।           কোনো একটি আগ্নেয়গিরিতে অনেকগুলি জ্বালামুখ থাকতে পারে। তাদের মধ্যে প্রধান জ্বালামুখটিকে মুখ্য জ্বালামুখ (Main Crater) এবং অন্য জ্বালামুখগুলিকে গৌণ জ্বালামুখ (Secondary Crater) বলে। উদাহরণ—ইতালির ভিসুভিয়াস এইরূপ দ্বিজালামুখবিশিষ্ট আগ্নেয়গিরি। ( খ) ম্যাগমাবাহী নলাকৃতি পথ (Volcanic Pipe) আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখটি একটি সংকীর্ণ ফানেলাকৃতির পথ দ্বারা ভূ-অভ্যন্তরের সঙ্গে যুক্ত থাকে। প্রধান জ্বালামুখটি প্রধান নলাকৃতি পথ দ্

Geography General Knowledge (Part-2)

Loading…

বেনিরফ জোন (Benioff Zone) ,(Concept of the Beni off Zone)

Image
বেনিরফ জোন (Benioff Zone) : ধারণা (Concept) : অভিসারী পাত সীমানায় একটি মহাদেশীয় পাত (Sial) মহাসাগরীয় পাতের (Sima) সম্মুখীন হলে মহাসাগরীয় পাত ভারী হওয়ায় হালকা মহাদেশীয় পাতের তলায় নিমজ্জিত হয়। এই ঘটনাটিকে অধোগমন বা নিমজ্জন বলে এবং যেখানে প্রবেশ করে তাকে অধোগমন মন্ডল বা নিমজ্জন মন্ডল বলে (Subduction zone) । এই নিমজ্জন সীমানা বরাবর মহাসাগরীয় পাতটি হ্যালানো অবস্থায় অ্যাসথেনোস্ফিয়ারের মধ্যে প্রবেশ করে। এভাবে পাত সীমানার সমান্তরালে বা যে কোণে মহাদেশীয় পাতটি নীচের দিকে নামতে থাকে, এই নিম্নবর্তী অঞ্চলকে বেনিয়ফ মন্ডল বা Benioff zone বলে। ― বেনিয়ফ জোন এর প্রবক্তা : 1949 সালে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এর ভূমিরূপবিদ ভিক্টর হুগো বেনিয়ফ (Victor Hogo Benioff, 1899-1968) সর্বপ্রথম এই অঞ্চলটি চিহ্নিত করেছেন। তাই তার নাম অনুসারে বেনিয়ফ জোন (Benioff Zone) নামকরণ করা হয়েছে । হুগো  বিনিয়ফ কারমাডেক টোঙ্গা অবনমন অঞ্চল (Kchnadec Tonga subduction) ও দক্ষিণ আমেরিকান অবনমন অঞ্চলের উপর গবেষণা করে উক্ত অঞ্চলটি সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেন। 1935 সালে সম্পূর্ণভাবে একক

সূচার রেখা বা সীবন রেখা কাকে বলে? Describe the concept of Suture Line?

Image
◆◆ সূচার রেখা বা সীবন রেখা (Suture Line) ধারণা (Concept ) : ‘ Suture’ একটি লাতিন শব্দ, যার অর্থ সেলাই (Stich)। দুটি মহাদেশীয় পাত পরস্পরের দিকে এগিয়ে এলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। পাতদ্বয়ের মধ্যবর্তী সমুদ্রে সঞ্চিত পলিস্তরে পার্শ্বচাপ সৃষ্টি হওয়ায় গিরিজনি ক্রিয়া কার্যকরী হয় । সামুদ্রিক ভূত্বকে সঞ্চিত পলিস্তরে পার্শ্বচাপ সৃষ্টি হওয়ায় ভাজ সৃষ্টি হয়। উভয় পার্শ্ব থেকে চাপ যত প্রবল হয় মধ্যবর্তী সামুদ্রিক ভূত্বকে বাঁক সৃষ্টি হয়, এবং ভূত্বক খণ্ডিত হয়ে পড়ে, চ্যুতি সৃষ্টি হয়, ক্ষারকীয় শিলার উদ্বেধ ঘটে। সমুদ্রে সঞ্চিত পাললিক শিলার মধ্যে এই সব ক্ষারকীয়  শিলা, অনেক সময় রূপান্তরিত হয়ে একত্রে এক বিশেষ ধরনের শিলায় পরিণত হয়, যাকে ‘ওফিওলাইট’ (Ophiolite) বলে। ওফিওলাইট শিলার উপস্থিতি, দুটি মহাদেশীয় পাতের সংঘর্ষ স্থানটি নির্দেশ করে। যে রেখা বরাবর দুটি মহাদেশীয় পাত মিলিত হয় তাকে সুচার রেখা বা সীবন রেখা (Suture line) বলে। বৈশিষ্ট্য (Characteristics) :   (i) চ্যুতিরেখা ভূপৃষ্ঠে লাভার অবস্থান দেখে বোঝা যায়।  (ii) অনুভূমিক পীড়নের সৃষ্টি হয়।  (iii) অভিসারী পাতদ্বয়ের চলনের কারণে এরূপ স

What is Hotspot? Explain the Characteristics Hotspot?

  তপ্তবিন্দু (Hotspot) :  ভূতাত্ত্বিকদের মতে তপ্তবিন্দু (Hotspot) গুলি প্রকৃতপক্ষে ম্যাগমা-লাভা নিঃসরণ বিন্দু। পৃথিবীতে অসংখ্য ছোট ছে আগ্নেয়মুখ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, সেগুলি থেকে প্রতিনিয়ত ভূঅভ্যন্তরের গলিত ম্যাগমা, লাভার উদগীরণ হচ্ছে ৫০% উদগীরণের কেন্দ্রগুলোই তপ্তবিন্দু নামে পরিচিত। 1963 সালে কানাডার ভূপদার্থবিদ জন টুজো উইলসন (John Tuzo Wilson, 1908-1993), হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে উৎপত্তি নিয়ে গবেষণা করেন এবং গবেষণাপত্রটি ('A possible origin of the Hawaiian Islands) 'Canadia Journal of Physics'-এ প্রকাশিত হয়। ঐ গবেষণা পত্রে সর্বপ্রথম ‘তপ্তবিন্দু' (Hotspot) কথা উল্লেখ করেন। তাঁর মতে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠের নীচে উষ্ণ অঞ্চলে ভূগাঠনিক পাতের ধীর চলনের ফলে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে সৃষ্টি হয়েছে। • তপ্তবিন্দুর উৎপত্তি (Origin of Hotspot): ভূপৃষ্ঠস্থ পাতগুলির নীচে বা অন্তঃপাত (interplate) অঞ্চলে ম্যান্টল স্তরের বেশ কিছু স্থান রয়েছে সেখানকার উষ্ণ চারপাশের এলাকার তুলনায় বেশি। এই অতিরিক্ত উত্তপ্ত অঞ্চলগুলিই তপ্তবিন্দু অঞ্চল। অনেক আধুনিক ভূতত্ত্ববিদদে মতে ভূপৃষ্ঠস্

Geography: ত্রিপাত সম্মেলন টি আলোচনা কর-geographyhonour

( Tripple Jucnction) : ধারণা (Concepts) : ত্রিপাট  সম্মেলন এমন একটি পাত সীমানা যেখানে তিনটি পাত এসে মিলিত হয়। অর্থাৎ তিনটি পাতের মিলনস্থলকে বলা হয়। এক্ষেত্রে ভূত্বকের অন্তর্ধান বা পাশাপাশি সরে যাওয়া যেকোনো প্রিপাত সম্মেলন (Triple Junction) অবস্থাতেই ঘটতে পারে। অনেক সময়ে Y” আকারের ত্রিপাত সম্মেলন ক্ষেত্র বরাবর দুটি বাহু সক্রিয় থাকে এবং একটি বাহু নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। এই নিষ্ক্রিয় বাহু অলাকোজেন (Aulacogen) নামে পরিচিত।               ত্রিপাট  সম্মেলনে তিন পাত সীমানার ধরন তিন রকম। যথা— শৈলশিরা (R); সমুদ্রখাত (T) এবং ট্রান্সফর্ম চ্যুতি (F) । ত্রিপাত সম্মেলনে পাতসীমাগুলি নিম্নলিখিত প্রকৃতির হয়ে থাকে— ( ক) ট্রান্সফর্ম চ্যুতি ট্রান্সফর্ম চ্যুতি-সমুদ্রখাত (F-F-T)। (খ) শৈলশিরা-শৈলশিরা-শৈলশিরা (R-R-R) (গ) সমুদ্রখাত-সমুদ্রখাত-সমুদ্রখাত (T-T-T) ইত্যাদি।       1969 সালে আমেরিকান ভূপদার্থবিদ উইলিয়াম জেসন মরগান (Williom Jason Morgan, 1935), ব্রিটিশ পদার্থবিদ ডান পিটার মেকেঞ্জি (Dan Peter McKenzie, 1942-) এবং আমেরিকান ভূপদার্থবিদ তানয়া আলওয়াটার (Tanya Alwater. 1942) যৌথভাবে 'নেচার

Causes Of Plate Movement(পাত সঞ্চালনের কারণ)

Image
  পাত সঞ্চালনের কারণ (Causes of Plate Movement) :                         পাত সঞ্চালনের কারণগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি সম্ভব হয়নি। তবে কোন শক্তির ফলে পাতগুলো গতিশীলতা লাভ করে বা সেই শক্তির উৎস কোথায় বা কেন এই শক্তি যুগ যুগ ধরে ক্রিয়াশীল থেকে পাতগুলোকে সর্বদা সঞ্চালিত করছে, এই প্রশ্নের উত্তর ও ব্যাখ্যা ভূ বিজ্ঞানীরা আজ পর্যন্ত দিতে পারেনি। তবে পাতের কারণগুলি সম্পর্কে ভূবিজ্ঞানীরা নিম্নলিখিত ব্যাখ্যা করেছেন—       1)পরিচলন তাপস্রোেত (Convectional Current): ভূগাঠনিক প্রক্রিয়া ও ভূমিরূপবিদ্যা ব্রিটিশ ভূবিজ্ঞানী আর্থার হোমস পরিচলন তাপ স্রোত মতবাদের সাহায্যে পাত সঞ্চালনের কারণকে ব্যাখ্যা করেছেন। ভূ-বিজ্ঞানী আর্থার হোমসের পরিচালন স্রোত তত্ত্ব অনুযায়ী গুরুমণ্ডলে অবস্থিত উত্তপ্ত ও গলিত পদার্থগুলি তাপ পরিবহনের মাধ্যমে ভূ-গর্ভস্থ অন্তস্থলে যে পরিচলন স্রোেত গঠন করে তা ভূ-গর্ভের উত্তপ্ত ও গলিত পদার্থগুলিকে উপরে নিয়ে আসে এবং পরে সেগুলি পাশেঁর দিকে প্রবাহিত হয়। পরিচলন স্রোতের উর্দ্ধমুখী গমনের ফলে পাতগুলির প্রতিসারী চলন এবং নিম্নমুখী গমনের ফলে পাতগুলির অভিসারী চলন ঘটে থাক

পাত সীমানার শ্রেণিবিভাগ (Classification of Plate Boundaries) :

Image
 ১ ) গঠনকারী পাত সিমান্ত: যখন একটি পাত অপর একটি পাত থেকে দূরে সরে যায় তখন ভূ-গর্ভস্থ ম্যাগমা বেরিয়ে এসে নতুন ভূ-ত্বক সৃষ্টি করে। ম্যাগমা সঞ্চয়ের ফলে ভূ-ত্বক সৃষ্টি হয় বলে একে গঠনকারী পাত সিমান্ত বলে। প্রধানত আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে (মধ্য আটলান্টিক শৈলশিরা) দুপাশের পাত সরে যাওয়ায় এই ধরনের গঠনকারী সীমান্ত গড়ে উঠেছে।                              গঠনমূলক পাত সিমান্তে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প হয়ে থাকে। ভূমিকম্পের ফোকাস বা কেন্দ্র খুব কম গভীরতায় দেখা যায়। এখেত্রে ভূমিকম্পের কেন্দ্র ২৫ কিমি থেকে ৩৫ কিমি এর মধ্যে অবস্থান করে থাকে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৬০ কিমি গভীরতাতেও ভূমিকম্পের গভীরতা দেখা যায়। এর ফলে ফাটল, চ্যুতি এবং অগ্ন্যুৎপাতের সৃষ্টি হয়। এই কারনেই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। উদাহরন : উত্তর ও দক্ষিন আমেরিকান পাত এবং আফ্রিকা ও ইউরোপীয় পাতের সরনের ফলে মধ্য আটলান্টিক শৈলশিরার সৃষ্টি হয়েছে। ২) বিনাশকারী পাত সিমান্ত: যখন দুটি পাত পরস্পরের দিকে অগ্রসর হয় তখন সেই পাত সীমান্তকে অভিসারী পাত সীমান্ত (Convergent plate boundary) বলে। দুটি পাতের মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে ভারী পাতটি হ

পাত সঞ্চালন মতবাদের স্বপক্ষে প্রমাণ (Evidences in favour of Plate Tectonic Theory)

◆পাত সঞ্চালন মতবাদের স্বপক্ষে প্রমাণ (Evidences in favour of Plate Tectonic Theory) : ভূ-ত্বক যে কতকগুলো পাতের সমন্বয়ে গঠিত এবং ঐ পাতগুলো সর্বদা গতিশীল রয়েছে সে সম্পর্কে আর কোম সন্দেহের অবকাশ নেই। পাতগুলোর অস্তিত্ব ও গতিশীলতা সম্পর্কে প্রমাণস্বরূপ ভূ-বিজ্ঞানীগণ নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর উপস্থাপন করেছেন- (i) পাতের সম্প্রসারণ গতি :   এ গতির প্রভাবে সীমানা হতে পাতগুলো পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যে আলাদা আলাদা ভূ-খণ্ড গঠন করছে প্রায় প্রতিটির বিপরীত দিকের ভূ-খণ্ডের প্রান্ডের সাথে যথেষ্ট মিল খুঁজে পাওয়া যায়। এদেরকে যদি সঙ্কুচিত করে পুনরায় একত্র করা যায় তাহলে দেখা যাবে যে তারা পরস্পর পরস্পরে অত্যন্ত সুন্দর ও সাবলীলভাবে মিলে যাবে। এভাবে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের উভয় দিকে অবস্থিত ইউরোপ মহাদেশ, স্ক্যান্ডিনেভিয়া উপদ্বীপ ও নলা পরস্পরের সাথে মিলে যাবে। অনুরূপভাবে দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে দক্ষিণ আমেরিকার পূর্ব প্রান্ত এবং আফ্রিকার পশ্চিম প্রান্ত পরস্পরের সাথে সম্পূর্ণভাবে মিলে যাবে। এছাড়া লোহিত সাগর, এডেন উপসাগর এবং ক্যালিফোর্নিয় উপসাগরের উভয় দিকে অবস্থিত স্থলভাগগুলোর মধ্যেও যথেষ্ট মিল খুঁজে পাওয

জুরাসিকযুগ ও ট্রায়াসিক যুগের মধ্যে পার্থক্য

  বৈশিষ্ট্য   জুরাসিক ট্রায়াসিক নামকরণ এর উৎপত্তি ফ্রান্সের 'জুরা'পর্বতের নাম অনুসারে এই উপযুগের নাম হয় জুরাসিক। জার্মানিতে প্রাপ্ত একস্থানে উন্মুক্ত শিলার অনুকরে ট্রায়াসিক কথাটি এসেছে। স্থায়িত্বকাল জুরাসিক উপযুগের মেয়াদ আনুমানিক 6 কোটি বছর। ট্রায়াসিক উপযুগের মেয়াদ আনুমানিক 3 কোটি বছর জলবায়ু জুরাসিক উপযুগে পৃথিবীর আবহাওয়া ছিল উষ্ণ ও স্যাতসেঁতে এবং মাঝে মাঝে বৃষ্টিপাত প্রভৃতি। তবে উত্তর-দক্ষিণ মেরুতে মৃদু জলবায়ু দেখা যায়। ট্রায়াসিক বা ট্রিয়াসিক উপযুগে উত্তর গোলার্ধে জলবায়ু ক্রমশ শুষ্ক হতে শুরু করে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বরফের আচ্ছাদন লক্ষ্য করা যায়।   পর্বতের    গঠন উত্তর আমেরিকায় নেভেডা পর্বতের উত্থান সূচিত হয়। ট্রায়াসিক উপযুগে আফ্রিকা, দক্ষিণ ভারত ও অস্ট্রেলিয়া নিয়ে গঠিত গন্ডোয়ানাল্যান্ড উত্তর দিবে ক্রমশ ও থাকে।       উদ্ভিদ এই সময় প্রথম সুপুষ্পক উদ্ভিদের সৃষ্টি হয় এবং ব্যক্তজীবী উদ্ভিদের প্রাধান্য ঘটতে থাকে। এই সময় নগ্নবীজি উদ্ভিদ বিকাশ ঘটে এবং ফার্ম জাতীয় উদ্ভিদের অবলুপ্তি ঘটে।       প্রাণী এই যুগে সরীসৃপ ও ডাইনোসর যার

উষ্ণপ্রস্রবণ (Hot Spring) কাকে বলে, ভূতাপ শক্তি (Geothermal Energy) অথবা, ভূতাপ কী?গিজার (Geyser)

Image
১★   উষ্ণপ্রস্রবণ (Hot Spring)                       মাটির নীচ থেকে যখন উয় জল আপনাআপনি বেরিয়ে আসতে থাকে, তখন তাকে উষ্ণ-প্রস্রবণ (Hot Spring) বলে। উৎপত্তি : মাটির নীচের জল (ভৌমজল) পৃথিবীর অভ্যন্তরের উত্তপ্ত শিলা অর্থাৎ, ম্যাগমার সংস্পর্শে এসে গরম হয়ে ফুটতে শুরু করে এবং পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো ফাটল বা দুর্বল স্থান পেলে সেখান দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এসে উয় প্রস্রবণ সৃষ্টি  হয়।   উদাহরণ : পশ্চিমবঙ্গের বক্রেশ্বর, বিহারের রাজগির প্রভৃতি স্থানে উয় প্রস্রবণ দেখা যায়।

Classification of Geological Time Scale( ভূতাত্ত্বিক সময়কালের বিভাজন)

Classification of Geological Time Scale( ভূতাত্ত্বিক সময়কালের বিভাজন):