4.4 ভূকম্পীয় তরঙ্গের ভিত্তিতে ভূঅভ্যন্তরভাগের শ্রেণীবিভাগ (Classification of Interior of the Earth on the basis of Seismic Wave):
ভূ-অভ্যন্তর দিয়ে প্রবাহিত প্রাথমিক (P Wave) ও গৌণ (S Wave) ভূকম্প তরঙ্গের প্রতিফলন ও প্রতিসরণের মাধ্যমে পৃথিবীর অভ্যন্তরের স্তরবিন্যাস জানা যায়। এই বিষয়ে ডাচ বিজ্ঞানী উইলি ব্রোড স্নেলিয়াস (Wille Brord Snellius, 1580-1626) এর ‘প্রতিসরণ সূত্র’ বা Snell’s Law বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ভূ-অভ্যন্তরে পদার্থের ঘনত্ব ও বৈশিষ্ট্য পরিবর্তিত হলে, প্রাথমিকও গৌণ তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়। এক ঘনত্বের শিলাস্তর থেকে পৃথক ঘনত্বের শিলাস্তরের ভিতর দিয়ে প্রবাহের সময় প্রাথমিক ও গৌণ তরঙ্গের গতিপথ পরিবর্তিত হয়। এই গতিপথ পরিবর্তনের মান তরঙ্গের গতির ওপর নির্ভর করে। তরঙ্গের গতি আবার পদার্থ বা শিলাস্তরের ঘনত্বের ওপর নির্ভর করে। এইভাবে প্রতিফলন ও প্রতিসরণ কোণের মান থেকে, ভূ-অভ্যন্তরের বিভিন্ন পদার্থের সমন্বয়, স্তরবিশেষে পার্থক্য ও বৈশিষ্ট্য জানা যায়। ভূকম্পীয় তরঙ্গের গতিবেগের বৈচিত্র্যতা ও বিভিন্নতা অনুসরে পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগকে তিনটি প্রধান স্তরে ভাগ করা হয়-- ◆ অশ্মমণ্ডল বা শিলা মণ্ডল (Lithosphere) ★ গুরুমণ্ডল(Barysphere or Mantle) ★কেন্দ্ৰমণ্ডল (Centrosphre Core) 1. শিলামন্ডল (Lithosp