Posts

Showing posts from July 4, 2021

অষ্টম শ্রেণীর স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক প্রশ্ন- উত্তর ( ২০২১)

  ১। বহুর মধ্যে সঠিক উত্তরটি খুঁজে বার করে (√) চিহ্ন দাও ঃ (ক) কোনটি শারীরিক সক্ষমতার দক্ষতা সম্পর্কিত উপাদান? (১) পেশিশক্তি (২) গতি (৩) নমনীয়তা উত্তর:- (২) গতি (খ) শারারিক সক্ষমতার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত উপাদানটি হলো (১) ভারসাম্য (২) ক্ষমতা (৩) পেশি সহনশীলতা উত্তর:- ৩) পেশি সহনশীলতা (গ) ১৯০৭ সাল থেকে পরপর তিন বার ট্রেডস কাপ জেতে কোন ক্লাব? (১) ডালহৌসি  ( ২) মোহনবাগান  ( ৩) কুমারটুলি উত্তর:-  ( ২) মোহনবাগান (ঘ) কখন ‘স্প্লিন্ট' ব্যবহার করা হয় ? (১) রক্তপাত বন্ধ করতে  (২) জ্বর কমাবার জন্য   (৩) অস্থিভাঙ্গের ক্ষেত্রে  উত্তর:- ৩) অস্থিভাঙ্গের ক্ষেত্রে  ২। শূন্যস্থান পূরণ করো:  (ক) শারীরশিক্ষার লক্ষ্য ব্যক্তিসত্তার--  পূর্ন বিকাশ  | (খ) দ্রুততার সঙ্গে দিক পরিবর্তনের ক্ষমতা নির্ভর করে ক্ষিপ্রতার   উপর। (গ) 50 মিটার দৌড় ট্র্যাক নির্দেশ করে। (ঘ) প্রতিদিন শারীরিক ক্রিয়াকলাপে অংশগ্রহণ শারীরিক বিভিন্ন যন্ত্র ও তন্ত্রগুলির উপর প্রভাববিস্তার করে। ৩। বাঁদিকের সঙ্গে ডানদিকের অংশ মেলাও : (ক) গতি -------->iii) ন্যূনতম সময়ে অতিক্রান্ত দূরত্ব (খ) প্রতিক্রিয়া সময় ---------->iv) নি

ছোটোনাগপুর মালভূমিকে 'ভারতের খনিজ ভাণ্ডার' বলা হয় – কারণ ব্যাখ্যা করো।

Image
১.    "আগ্নেয় শিলাকে প্রাথমিক শিলা বলা হয়।"- কারণ ব্যাখ্যা করো। অথবা , কোন্ শিলাকে ‘প্রাথমিক শিলা’ বলে ও কেন? উত্তর:- পৃথিবী  উত্তপ্ত জ্বলন্ত গ্যাসীয় পিণ্ড থেকে ধীরে ধীরে তাপ বিকিরণ করে শীতল হয়ে প্রথমে তরল এবং পরে কঠিন অবস্থায় (ভূত্বক) পরিণত হয়েছে। এই উত্তপ্ত তরল অবস্থা থেকে কঠিন অবস্থায় পরিণত হওয়ার সময় ভূঅভ্যন্তরে ম্যাগমা জমে এবং ভূপৃষ্ঠে লাভা জমে প্রথমে যে শিলার সৃষ্টি হয় তা হল আগ্নেয় শিলা। পৃথিবীতে আগ্নেয় শিলা প্রথম সৃষ্টি হয়েছিল বলে একে প্রাথমিক শিলা (Primary Rock) বলে। ২. ‘পাললিক শিলায় জীবাশ্ম দেখা যায়'- কারণ ব্যাখ্যা করো। উত্তর:- নদী, সমুদ্র বা হ্রদের তলায় স্তরে স্তরে পলি জমা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহও তার মধ্যে চাপা পড়ে যায়। পরবর্তীকালে পলি জমাটবদ্ধ হয়ে পাললিক শিলা গঠনের সময় ওইসব উদ্ভিদ বা প্রাণীর দেহ ধীরে ধীরে প্রস্তরীভূত হয়ে যায় এবং শিলাস্তরের ওপর তার ছাপ সৃষ্টি হয়। এইজন্য জীবাশ্ম শুধুমাত্র পাললিক শিলাতেই দেখা যায় ৷ ৩.ব্যাসল্ট শিলায় গঠিত ভূমিরূপ চ্যাপটা আকৃতির হয়।' কারণ ব্যাখ্যা করো: উত্তর:- ব্যাসল্ট ন

রূপান্তরিত শিলা কাকে বলে? ইহার বৈশিষ্ট্য ও শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর?

রূপান্তরিত শিলা কাকে বলে?    সংজ্ঞা : গ্রিক শব্দ 'Metamorphe' শব্দটির অর্থ 'রূপান্তর'। বিভিন্ন প্রকার আগ্নেয় ও পাললিক শিলা দীর্ঘদিন ধরে ভূঅভ্যন্তরের প্রচণ্ড চাপ ও তাপে অথবা রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে পুরোনো ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মের পরিবর্তন ঘটিয়ে কেলাসিত হয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধর্মবিশিষ্ট এক ধরনের শিলায় পরিণত হয়। এই ধরনের শিলাকে রূপান্তরিত শিলা বলে। কেবলমাত্র আগ্নেয় ও পাললিক শিলার রূপান্তর ঘটে না, রূপান্তরিত শিলারও পরবর্তীকালে রূপান্তর ঘটে থাকে। উদাহরণ : আগ্নেয় শিলার রূপান্তর : গ্রানাইট → নিস। পাললিক শিলার রূপান্তর : চুনাপাথর → মারবেল। রূপান্তরিত শিলার রূপান্তর : স্লেট → ফিলাইট → সিস্ট।

পাললিক শিলা কাকে বলে? ইহার বৈশিষ্ট্য ও শ্রেণীবিভাগ আলোচনা কর?

★★ পাললিক শিলা কাকে বলে?  উত্তর -  পাললিক শিলা (Sedimentary Rock): পাললিক শিলার ইংরেজি প্রতিশব্দ Sedimentary Rock যা ল্যাটিন শব্দ 'Sedimentum' থেকে এসেছে যার অর্থ হল ‘অধঃক্ষেপণ'। পাললিক শিলা কথাটি এসেছে ‘পলি’ বা ‘পলল’ থেকে। পৃথিবীপৃষ্ঠের আগ্নেয় শিলা, রূপান্তরিত শিলা বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির ঘাত-প্রতিঘাতে অতি সূক্ষ্ম শিলাকণায় পরিণত হয়, যা পুনরায় সমুদ্রগর্ভ বা বিশাল জলাশয়ে নদী, হিমবাহ বা বায়ু দ্বারা বাহিত হয়ে আয়তন ও ভর অনুযায়ী স্তরে স্তরে সজ্জিত হয়ে যে শিলার সৃষ্টি করে, তাকে পাললিক শিলা বলে। স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয় বলে এই শিলাকে স্তরীভূত শিলা (Stratified Rock) বলে।  উদাহরণ : বেলেপাথর, কাদাপাথর। পাললিক শিলার শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো- ◆ পললের গঠন অনুসারে : পললের গঠন অনুসারে পাললিক শিলাকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায় সেগুলি নীচে আলোচনা করা হলো- 1. যান্ত্রিক উপায়ে সৃষ্ট পাললিক শিলা :   বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির ঘাত প্রতিঘাতে ভূপৃষ্ঠের শিলাসমূহ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে কোনো প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা পরিবাহিত হয়ে কোনো অবনমিত অঞ্চলে (সমুদ্র, নদী বা হ্রদের তলদেশে) স্তরে স্তরে সঞ্চিত ও কঠি

Class 8 Geography New Model Activity task Answer

 ১.১ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো। ক) অস্তঃকেন্দ্রমণ্ডল – পদার্থের তরল অবস্থা খ) বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল – পদার্থের ঘনত্ব সর্বাধিক গ) অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার – পরিচলন স্রোতের সৃষ্টি ঘ) ভূত্বক – লোহা ও নিকেলের আধিক্য - উত্তর - গ) অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার – পরিচলন স্রোতের সৃষ্টি ১.২ রকি ও আন্দিজ পর্বতমালার সৃষ্টি হয়েছে- ক) মহাসাগরীয় – মহাসাগরীয় অপসারী পাতসীমানা বরাবর - খ) মহাসাগরীয় – মহাসাগরীয় অভিসারী পাতসীমানা বরাবর গ) মহাদেশীয় – মহাদেশীয় অভিসারী পাতসীমানা বরাবর ঘ) মহাদেশীয় – মহাসাগরীয় অভিসারী পাতসীমানা বরাবর উত্তর -  ঘ) মহাদেশীয় – মহাসাগরীয় অভিসারী পাতসীমানা বরাবর ১.৩ উত্তর ভারতের স্থলভাগের সীমানা রয়েছে - ক) পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে খ) নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে গ) বাংলাদেশ ও ভুটানের সঙ্গে ঘ) মায়ানমার ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে উত্তর-    খ) নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে 2 ২.১ কোন যন্ত্রের সাহায্যে ভূমিকম্পের তীব্রতা পরিমাপ করা হয়? উত্তর- সিসমোগ্রাফ ২.২ কোন প্রকার শিলার স্তরে খনিজ তেল পাওয়া যায়? উত্তর- পাললিক শিলা ২.৩ ভারতের কোন প্রতিবেশী দেশ মশলা উৎপাদনে বিখ্যাত? উত্তর- শ্রীলঙ্কা 3 ৩.১ ভূ-অভ্যস্তরের কোন স্ত

অষ্টম শ্রেণীর তৃতীয় অধ্যায় MCQ Sort Question

 1. কোন্ শিলায় জীবাশ্ম দেখা যায়?* উত্তর- পাললিক শিলায় 2. রেললাইনের মাঝে পড়ে থাকা শিলার নাম কী? উত্তর- ব্যাসল্ট শিলা 3. সমুদ্রের তলদেশে কোন্ শিলার সৃষ্টি হয়? উত্তর-  পাললিক শিলায় 4. স্তরায়ণ তল কোন্ শিলায় দেখা যায়?**  উত্তর -  পাললিক শিলায় একটি সংঘাত পাললিক শিলার উদাহরণ দাও। * উত্তর- বেলেপাথর  5.দুটি নিঃসারী আগ্নেয় শিলার নাম লেখো? উত্তর - ব্যাসল্ট, টুফ 6.ভূঅভ্যন্তরে সৃষ্ট আগ্নেয় শিলাকে কী বলে? উত্তর - উদ্‌বেধী শিলা 7. কোন্ শিলার মধ্যে কয়লা, খনিজ তেল পাওয়া যায় ?*** উত্তর- পাললিক শিলায় 8. জৈবিক উপায়ে গঠিত একটি অসংঘাত শিলার নাম লেখো?  উত্তর- চুনাপাথর/কয়লা 9. সোনার কেল্লা, লালকেল্লা কোন্ শিলায় গঠিত? ★ উত্তর- বেলেপাথর 10. ভারতের ছোটোনাগপুর অঞ্চল প্রধানত কোন্ শিলায় গঠিত?* উত্তর- গ্রানাইট 11.একটি মৌলিক খনিজের নাম লেখো? উত্তর - হিরে 12. একটি যৌগিক খনিজের নাম লেখো? উত্তর- অর্থোক্লেজ ফেল্ডসপার  13. সবচেয়ে কঠিন খনিজ কোন্‌টি?* উত্তর- হিরে (ডায়মন্ড) 14. ছোটোনাগপুর মালভূমি ছাড়া ভারতের আর একটি মালভূমির নাম করো যা বিশেষভাবে খনিজ সম্পদ দ্বারা সমৃদ্ধ? উত্তর- দাক্ষিণাত্য মালভূমি  15.

অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল তৃতীয় অধ্যায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত প্রশ্ন - উত্তর

★★ সমসত্ত্ব (Homogeneous) ও অসমসত্ত্ব (Heterogeneous) মিশ্রণ বলতে কী বোঝো? উত্তর : যে মিশ্রণে উপাদানগুলি সব জায়গায় সমান অনুপাতে থাকে, তাকে সমসত্ত্ব (Homogeneous) মিশ্রণ বলে।           যে মিশ্রণে উপাদানগুলি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন অনুপাতে থাকে, তাকে অসমসত্ত্ব (Heterogeneous) মিশ্রণ বলে। ★★  পেট্রোলজি (Petrology) কী ?  উত্তর -  গ্রিক শব্দ ‘পেট্রো' (Petro) অর্থ শিলা এবং 'Logy' অর্থ বিজ্ঞান। পেট্রোলজি হল বিজ্ঞানের সেই বিশেষ শাখা যেখানে শিলা ও তার বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করা হয়। ★★ মিনারেলজি (Mineralogy) কী?   উত্তর - মিনারেলজি হল বিজ্ঞানের সেই শাখা যেখানে খনিজ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। ★★ শিলা কয় প্রকার ও কী কী? উত্তর -  উৎপত্তি অনুসারে শিলাকে প্রধান তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা- আগ্নেয় শিলা (ব্যাসল্ট, গ্রানাইট)। ও পাললিক শিলা (বেলেপাথর, কাদাপাথর)। @ রূপান্তরিত শিলা (মারবেল, স্লেট)।

রিখটার স্কেল কাকে বলে, রিখটার স্কেল এর উদ্দেশ্য ও বৈশিষ্ট্য

Image
 ★★ রিখটার স্কেল (Richter Scale) :  সিসমোগ্রাফ যন্ত্রের ওপর বসানো যে স্কেলের সাহায্যে ভূমিকম্পের তীব্রতা পরিমাপ করা হয়, তাকে রিখটার স্কেল বলে।  আবিষ্কারক:   1935  সালে ভূকম্পবিদ চার্লস রিখটার এই স্কেল আবিষ্কার করেন, তাই একে রিখটার স্কেল নাম দেওয়া হয়েছে          ● উদ্দেশ্য:  ভূপৃষ্ঠের কম্পন ভূমিকম্পনলিখ যন্ত্রের সাহায্যে লিপিবদ্ধ করে তা থেকে গাণিতিক পদ্ধতিতে ভূমিকম্পের শ্রেণি নির্ধারণ করাই হল এর উদ্দেশ্য।            বৈশিষ্ট্য:  ১. রিখটার স্কেলের মাত্রাক্রম 0 থেকে 10 পর্যন্ত।  ২. এই স্কেল অনুযায়ী ভূমিকম্পের তীব্রতা প্রতি এক একক বাড়ার অর্থ, সেই ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা আগের এককের থেকে 10 গুণ

ভূগোলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন

◆◆ অগ্ন্যুৎপাতকে ভূগাঠনিক প্রক্রিয়া (Structural Process) বলা হয় কেন?   অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ভূপৃষ্ঠে লাভা সঞ্চিত হয়ে লাভা মালভূমি, সমভূমি, আগ্নেয়গিরি এমনকি ভূত্বকের শিলাস্তরের মধ্যে ম্যাগমা সঞ্চিত হয়ে ডাইক, সিল, ব্যাথোলিথ প্রভৃতি বিভিন্ন ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়। তাই অগ্ন্যুৎপাতকে একপ্রকার ভূগাঠনিক প্রক্রিয়া বলা হয়। ◆◆ ভূ-অন্তস্থ প্রক্রিয়া (Endogenetic Process) বলতে কী   ভূঅভ্যন্তরীণ শক্তি দ্বারা ভূপৃষ্ঠে ভূমিরূপ গঠনের প্রক্রিয়াকে ভূ-অন্তস্থ প্রক্রিয়া বলা হয়। এটি দু-প্রকার— •  ১. দীর্ঘ সময়ব্যাপী ধীর প্রক্রিয়া (সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্থান-পতন)। ২. আকস্মিক প্রক্রিয়া (অগ্ন্যুগম, ভূমিকম্প)।   ◆◆ ভূ-বহিস্থ প্রক্রিয়া (Exogenetic Process) বলতে কী বোঝো?   ভূপৃষ্ঠের বাইরের বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি যেমন— নদী, বায়ু, হিমবাহ, সমুদ্রতরঙ্গ দ্বারা ক্ষয়, সঞ্চয় ও বহন কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন ভূমিরূপ সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে বলা হয় ভূ-বহিস্থ প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে ধীরভাবে চলতে থাকে। ◆◆ আম্লিক লাভা (Acidic Lava) কাকে বলে?   সিলিকাসমৃদ্ধ অত্যন্ত ঘন, সান্দ্র, বেশি দূর প্রবাহিত হতে অক্ষম

একটি আদর্শ আগ্নেয়গিরির বিভিন্ন অংশ উল্লেখ করো

Image
 একটি  আদর্শ আগ্নেয়গিরির বিভিন্ন অংশ উল্লেখ করো:  মূলত কেন্দ্রীয় অগ্ন্যুৎপাতে দীর্ঘদিন ধরে লাভা ও পাইরোক্লাস্ট জমাট বেঁধে আদর্শ আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয়। একটি আদর্শ আগ্নেয়গিরির বিভিন্ন অংশগুলি হল ● জ্বালামুখ :  আগ্নেয়গিরির শীর্ষদেশে বা গায়ে অবস্থিত যে সকল ছিদ্রপথের মাধ্যমে ভূগর্ভের আগ্নেয় পদার্থগুলি ভূপৃষ্ঠে বেরিয়ে আসে, সেই ফানেল আকৃতির ছিদ্রমুখকে বলা হয় জ্বালামুখ। আগ্নেয়গিরিতে একটি বড়ো প্রধান জ্বালামুখ থাকে ও ছোটো একাধিক গৌণ জ্বালামুখ থাকতে পারে।  ম্যাগমা প্রকোষ্ঠ :  আগ্নেয়গিরির নীচে ভূঅভ্যন্তরে যেখানে ম্যাগমা সঞ্চিত থাকে তাকে ম্যাগমা প্রকোষ্ঠ বা ম্যাগমা চেম্বার বলে। ●  আগ্নেয় গ্রীবা:  ম্যাগমা প্রকোষ্ঠ ও জ্বালামুখের সংযোগকারী নলাকৃতি পথকে আগ্নেয় গ্রীবা বলে। যার মধ্য দিয়ে ভূগর্ভস্থ আগ্নেয় পদার্থ বেরিয়ে আসে। ● ক্যালডেরা :  অনেক আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ প্রচণ্ড বিস্ফোরণে ধসে গিয়ে বিশালাকার ক্যালডেরার সৃষ্টি সময় কড়াই-এর ন্যায় ক্যালডেরার সৃষ্টি হয়। ● আগ্নেয় শঙ্কু :  আগ্নেয় পদার্থ সঞ্চিত হয়ে খাড়া ঢালু শঙ্কু আকৃতির ভূমিভাগ গড়ে তোলে, যাকে আগ্নেয় শঙ্কু বলে।

বৃত্তচাপীয় দ্বীপমালা কী,বৃত্তচাপীয় দ্বীপমালা কাকে বলে? what is Island Arch

 ● বৃত্তচাপীয় দ্বীপমালা (Island Arch) : সমুদ্রতলে দুটি অভিসারী সামুদ্রিক পাত যখন পরস্পর সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তখন অপেক্ষাকৃত বেশি ঘনত্বের ভারী পাতটি অন্য পাতের নীচে প্রবেশ করে। গভীরে প্রবেশের কারণে ভূগর্ভস্থ অধিক উয়তায় পাত গলে যায় এবং গলিত পদার্থ বেরিয়ে এসে সমুদ্রতলদেশে সঞ্চিত হতে থাকে। ক্রমাগত গলিত ম্যাগমা সঞ্ছিত হয়ে তা একসময় জলের ওপরে জেগে উঠে দ্বীপ গঠন করে। যখন এরূপ অসংখ্য দ্বীপ বৃত্তের আকারে অবস্থান করে, তখন তাকে বৃত্তচাপীয় দ্বীপমালা বলে। উদাহরণ :   ভারত মহাসাগরে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ প্রশান্ত মহাসাগরের ফিলিপাইনস্ দ্বীপপুঞ্জ প্রভৃতি। ★★অভিসারী পাতসীমান্তকে 'বিনাশকারী পাতসীমান্ত বলা হয় কেন? উত্তর=  অভিসারী পাতসীমান্তকে ‘বিনাশকারী পাত সীমান্ত’ বলার কারণ—  ১. মহাদেশীয় ও মহাসাগরীয় পাত পরস্পরের দিকে অগ্রসর লে ভারী মহাসাগরীয় পাত, মহাদেশীয় পাতের নীচে প্রবেশ করে ও মুদ্রিক খাত সৃষ্টি করে। যেমন— প্রশান্ত মহাসাগরের মারিয়ানা খাত।  ২. নিমজ্জিত পাতের কিছু অংশ অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারে প্রবেশ করে অত্যধিক উন্নতায় গলতে থাকে। এইভাবে দুটি পাতের সংঘর্ষ হলে নিমজ্জিত অংশটি ধ্বংসপ্রাপ্ত

গন্ডোয়ানা ভূমি কী ( what is Gondwana Land), লরেশিয়া বা আঙ্গারাল্যান্ড কী( what is Laurasia or Angaraland)

Image
★★ গন্ডোয়ানা ভূমি (Gondwana Land) : গণ্ডোয়ানা শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত শব্দ গণ্ডবন বা গণ্ডদের (Gond) বন থেকে। ভারতের মধ্যপ্রদেশে পনেরো শতকে এক ধরনের গণ্ড উপজাতি বাস করত, তাদের বাসস্থানের নাম অনুসারে গণ্ডোয়ানা ভূমি বা গণ্ডোয়ানা ল্যান্ড নামকরণ হয়। এই নামটি সর্বপ্রথম 1872 সালে প্রস্তাব করেন ব্রিটিশ জরিপকর্তা হেনরি বেনেডিক্ট মেডলিকট (Henry Benedict Medlicot, 1829 – 1905) তাঁর একটি গবেষণা পত্রে, তবে এটি অনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ পায়নি, পরবর্তী সময়ে এডওয়ার্ড সুয়েস (1888) এই ধারণাটি প্রকাশ করেন। তবে গন্ডোয়ানা ল্যান্ড বলতে ব্যাপক অর্থে আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, মাদাগাস্কার, ভারত, আরব উপদ্বীপ, পারস্য, মালয় উপদ্বীপ সহ পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ ও অস্ট্রেলিয়াকে বোঝায়। লরেশিয়া বা আঙ্গারাল্যান্ড (Laurasia or Angaraland) : 1880 সালে অস্ট্রিয়ার ভূতত্ত্ববিদ এডওয়ার্ড সুয়েস (Edward Suess, 1851-1914) প্যানজিয়ার উত্তর ভাগকে আঙ্গারাল্যান্ড বলেছিলেন। সাইবেরিয়ার অ্যাঙ্গারা নদীর (Angara River) নামানুসারে পূর্ব এশিয়া অর্থাৎ সাইবেরিয়ার শীল্ড অঞ্চলকে অ্যাঙ্গারাল্যান্ড বলেছিলেন। পূর্ব এশিয়া অর্থাৎ

আআ লাভা প্রবাহ ও পাহোহো লাভা প্রবাহের মধ্যে পার্থক্য

Image
 ★★ আআ লাভা প্রবাহ ও পাহোহো লাভা প্রবাহের মধ্যে পার্থক্য : যে সমস্ত কঠিন ও তরল পদার্থ অগ্ন্যুদ্গমের সময়ে বেরিয়ে আসে তার মধ্যে লাভা অন্যতম। আগ্নেয় লাভার উষ্ণতা সাধারণত 900° সে. - 1200° সে. এর মধ্যে হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের লাভার মধ্যে ব্যাসল্ট জাতীয় লাভা সবচেয়ে উন্নত এবং তা বহুদূর পর্যন্ত প্রবাহিত হতে পারে। সাধারণত ভূমির ঢাল ও লাভার গতিশীলতার উপর লাভার গতিবেগের হার নির্ভরশীল। লাভার গতিবেগ ঘন্টায় 45-65 কিমি. হতে পারে। আমেরিকার ভূতত্ত্ববিদ ক্লারেন্স ডাটন সর্বপ্রথম লাভার প্রবাহকে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের ভাষার ভিত্তিতে দুই ভাগে ভাগ করেন। যথা— 1. আআ লাভা প্রবাহ (aa Lava)। 2. পাহোহো লাভা প্রবাহ ( Pahochoe Lava)।

ম্যাগমা এর প্রকারভেদ (শ্রেণীবিভাগ)

 রাসায়নিক গঠন অনুসারে ম্যাগমাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। নীচের  তা ব্যাখ্যা করা হল। ◆◆ ব্যাসল্ট জাতীয় ম্যাগমা (Basaltic Magma) : মহাদেশীয় ও মহাসাগরীয় ভূত্বকে ব্যাসল্ট আগ্নেয়গিরি (Basalt Volcanoes) দেখা যায়। এই আগ্নেয়গিরির অভ্যন্তরস্থ ম্যাগমা ব্যাসল্ট জাতীয় ম্যাগমা (Basaltic Magma) বলে। ব্যাসল্ট (Basalt) শব্দটি ল্যাটিন শব্দ ‘Basanites” থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘খুবই শক্ত পাথর’। 1556 সালে জার্মান খনিজবিদ জর্জজিয়ায় এগ্রিকোলা (Georgius Agricola, 1494-1556) সর্বপ্রথম লাভা দ্বারা সৃষ্ট শিলাকে ব্যাসল্ট শিলা হিসাবে চিহ্নিত করেন। ব্যাসল্ট জাতীয় ম্যাগমা সাধারণত উচ্চ গুরুমণ্ডলের (upper mantle) উপরে লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া মধ্য সামুদ্রিক শৈলশিরা অঞ্চলেও ব্যাসল্ট জাতীয় ম্যাগমা দেখা যায়। শিলামগুলের নীচে অবস্থিত তপ্ত বিন্দুগুলো (Hot spot) দিয়ে ব্যাসল্ট জাতীয় ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠে লাভা রূপে বেরিয়ে আসে। এই জাতীয় ম্যাগমাতে সিলিকার পরিমাণ 50% এবং এই ম্যাগমার সান্দ্রতা (viscosity) খুবই কম এবং বিস্ফোরণের মাত্রাও কম। এই জাতীয় ম্যাগমা থেকে সামুদ্রিক ও মহাসাগরীয় ব্যাসল্ট সৃষ্টি হয়ে থাকে। এই ব্যাসল্ট