Posts

Showing posts from September 19, 2021

ক্লোরোপ্লেট ম্যাপ এবং আইসোপ্লেট ম্যাপ এর মধ্য পার্থক্য

  Distinguish between choropleth map and Isopleth map :  1.)  যে কোনো উপাদানকে (জনসংখ্যা, বসতি, শস্যউৎপাদন) প্রতি একক প্রশাসনিক ক্ষেত্র মানের সাপেক্ষে পরিমাপ করে যে ক্রমবিন্যস্ত মানচিত্র অঞ্চল করা হয়, কে choropleth Map বলে।           অন্যদিকে   মানচিত্রে অবস্থানকারী সমমান যুক্ত অঞ্চলগুলিকে একটি কাল্পনিক রেখা দ্বারা যোগ করলে যে রেখা পাওয়া যায় তাকে Isoline বলে। আর এই পদ্ধতিকে Isopleth বলে। 2.) Choropleth  মানচিত্রে রেখাগুলি পরস্পর কে ছেদ করে।           অন্যদিকে           Isopleth বা সমমান রেখাগুলি পরস্পরকে ছেদ করে না। 3.) Choropleth  মানচিত্রে অবস্থানকারী অঞ্চল গুলির প্রকৃতি আলাদা আলাদা হয়।            অন্যদিকে সমমান রেখাগুলিতে অবস্থানকারী অঞ্চলগুলির প্রকৃতি - একই রকম । 4.)প্রশাসনিক একক  অনুসারে ছায়াপথ করা হয় বলে choropleth মানচিত্রের বৈশিষ্ট্য সহজে বোঝা যায় ।          অন্যদিকে      এই চিত্রের সাহায্যে কোনো রাশি তথ্যের বৈশিষ্ট্য সহজেই বোঝা যায়।  5.) যখন একটি ভেরিয়বলের পরিবহন স্থায়ী হয় না ,তখন Choropleth কৌশল ব্যাবহার করা হয়।         অন্যদিকে যখন একটি ভেরিয়বলের পরিবহন স্থায়ী হয়  ,ত

গ্রামীণ বসতির ধরণ বা বিন্যাস (The patterns of Rural Settlement of India)

Image
  গ্রামীণ বসতির ধরণ বা বিন্যাস  ভারতের বিভিন্ন স্থানে ভৌগোলিক অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির অন্যতম অবদান রূপে ভারতের গ্রামগুলিতে গ্রামীণ স্তরে বাড়িগুলি সমাবেশ ও নানান বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়। ভারতের গ্রামীণ বাড়িগুলির আঙ্গিক গঠনে এবং তাদের জ্যামিতিক বিন্যাসে প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশের প্রভাব সুস্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যায়। ভারতের গ্রামগুলি অপরিকল্পিতভাবে এবং সুনির্দিষ্ট কোন আকৃতি ও অভ্যন্তরীণ বিন্যাসে কোন নির্দিষ্ট ছাদ ছাড়াই নির্মাণ করা হয় এবং স্থানীয় প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশের মধ্যেই ইহা বিস্তার লাভ ঘটে।                   গ্রামগুলির বিন্যাসে পার্থক্য বিচারে ভারতের গ্রামগুলিতে নিম্নলিখিত কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়-

কর্মধারার ভিত্তিতে গ্রামীণ বসতির শ্রেণীবিভাগ (Functional classification of Rural Settlement)

Image
  কর্মধারার ভিত্তিতে গ্রামীণ বসতির শ্রেণীবিভাগ   কোন বসতির কর্মধারা প্রধানত বাসগৃহের অর্থনৈতিক কাজকর্মের উপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে। এই অর্থনৈতি কাজকর্মগুলি হল—কৃষিকাজ, মৎস্যশিকার, খনিজ সংগ্রহ, শিল্প প্রভৃতি। ভারতের অধিকাংশ গ্রামবাসী কৃষিকাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। উত্তরপূর্ব ভারতের পার্বত্য অঞ্চলে সংকীর্ণ উপত্যকায় বিভিন্ন কৃষিজ ফসল উৎপাদন ক হয়। সমগ্র বিশ্বে দেখা যায় যে, প্রাথমিক বৃত্তির উপর নির্ভর করে গ্রামীণ বসতিগুলি গড়ে ওঠে। গ্রামীণ বসতির প্রধন কর্মধারা সৃষ্টির বিভিন্ন উপাদানগুলিনিম্নে উল্লেখ করা হল।

রবীন্দ্রনাথের ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ কবিতার নামকরণের সার্থকতা বিচার কর ?

 প্র: রবীন্দ্রনাথের ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ কবিতার নামকরণের সার্থকতা বিচার কর ? উ: কবিতার নামকরণ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এই নামকরণ। করা হয়। যেমন—বিষয়বস্তু অনুসারে, কোন চরিত্রের নাম অনুসারে, কিংবা ভাবব্যগ্লুনা বা ভাবসত্যের অভিব্যক্তি অনুসারে নামকরণ করা হয়ে থাকে। তাই নামকরণথেকেই বোঝা যায় যে কবি কীভাবে নামকরণ করেছেন। এছাড়া আর একটা দিক স্পষ্ট হয় যে কবিতার বিষয়বস্তু কী হতে পারে তার একটা ইঙ্গিত পাওয়া যায়। কারণ নামকরণ কবিতার একটা আলোক শিখাও বটে। রবীন্দ্রনাথের ‘ নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ ' কবিতাটির নামকরণ কতখানি সার্থক তার বিচার দরকার। ‘নির্ঝর’ শব্দের সাধারণ অর্থ ‘ঝরনা’ বা ‘পাহাড়ি জলধারা'। এই ঝরনা বা পাহাড়ি জলধারা আপন গতিতে চলে—অবিরাম তার গতিধারা। এই জলধারা একসময় গতানুগতিকতায় পরিণত হয়। ছকে বাঁধা জীবনে পরিণত হয়। জীবন হয় অবরুদ্ধ। বাঁধা জীবন বন্দিদশা প্রাপ্ত হয়। কবির মনে হয় এ জীবন যেন পাষাণ কারাগারে বন্দির মতো। এ এক অন্ধকার গুহার মতো—যেখানে বাইরের জীবনের কোনো সম্পর্ক থাকে না। জগতের কোনো আলো পৌঁছোয় না। কিন্তু এই ‘নির্ঝরের’ একদিন ‘স্বপ্ন ভঙ্গ’ হয়; নিদ্রা

কালাপাহাড় প্রবন্ধ: কালাপাহাড় গল্পের নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো।

কালাপাহাড় গল্পের নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো। ‘ কালাপাহাড়’ - একটি পশু কেন্দ্রিক ছোটগল্প । মানুষের সাথে অবলা প্রাণীর যে এটা নীরব অন্তরের সম্বন্ধ তিলে তিলে গড়ে ওঠে, তা এই গল্পটির মধ্যে দিয়ে বোঝা হবে। পশু হলেও তাদের মনে যে ভালবাসা, স্নেহ, মায়া-মমতা বিকাশ ঘটা সম্ভব তা এই কোটি পাঠ করলেই অনুধাবন করা যায়।               প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের বিখ্যাত ছোটগল্প ‘ আদরিণী’র সাথে আমরা এই কলাপাহাড়’ গল্পটির বহুলাংশে সাদৃশ্য পাই। আবার শরৎচন্দ্রের ‘মহেশ’ও ‘কালাপাহাড়ের অতুল। এই প্রত্যেকটি গল্পেরই কেন্দ্রে আছে একটি অবলা প্রাণী। যার সাথে তার মনিবের এক আত্মার নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যা অন্য জনের চোখে অদৃশ্য। চারপেয়ে প্রাণীটি কখন যে তার কর্তার সন্তানতুল্য হয়ে ওঠে, তা কেবল অন্তর্যামীই জানেন। তাই সেখানে হস্তরের আনন্দের কিংবা দুঃখের বহিঃপ্রকাশ কখনোও হৃদয়গ্রাহী আবার কখনো অতিরঞ্ছিত। ‘কালাপাহাড়’ গল্পের কেন্দ্রে আছে ‘কালাপাহাড়”। একটি অদ্ভুত ভয়ঙ্কর সৌন্দর্যের নেড়কে মোড়া এক অতিকায় দেব বিশিষ্ট মোষ। রংলাল গ্রামের অন্যান্য সকলের থেকে তলো গোরু কেনার উদ্দেশ্যে হাটে যায়। কিন্তু তার পছন্দ হয় দুটি মো