What is Ethnicity? Discuss the Characteristics of Ethnicity and Types Of Ethnicity.
নৃজাতি সত্ত্বা (Ethnicity)
আন্তঃমানবিক বিন্যাস-বিশ্লেষণের একটি বিশাল ক্ষেত্র হল মানবীয় ভূগোল। তাই, খুব স্বাভাবিক ভাবেই জাতি। ধারণার পাশাপাশি মানবীয় ভূগোলের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নৃজাতিসত্ত্বা (Ethnicity)-র আলোচনা। বস্তুত মানুষের অতীত এবং ঐতিহ্যকে সামনে রেখে, জাতি (Race) ধারণা বৈধতা পায় নৃজাতি সত্ত্বার মাধ্যমে। জাতিকে বুঝতে হলে তার গোষ্ঠীগত মর্যাদা রূপে নৃজাতিসত্ত্বা সেই কারণে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। (Race)
> অর্থ (Meaning) : পৃথিবীতে বিভিন্ন সময়ে “Ethnicity' শব্দটিকে কখনো সংকীর্ণ অর্থে, আবার কখনো বৃহত্তর অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে—
“Ethnicity” শব্দটি প্রাচীন গ্রিক শব্দ “Ethnos” এবং লাতিন শব্দ 'Ethnicos' থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ হল ধর্মহীন (Heathen) বা পৌত্তলিক (Pagan) ।
R. Williams-এর মতে, চতুর্দশ শতক থেকে ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত প্রাচীন ইংরেজি সাহিত্যে ‘Ethnic' শব্দটির দ্বারা জাতিগোষ্ঠী বা জাতি সম্প্রদায়ের ধারণা (notion of folk) বোঝাতে ব্যবহার করা হয়। সাম্প্রতিক কালে পৃথিবীব্যাপী একটি নির্দিষ্ট ভাবধারা বা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসম্পন্ন ‘জাতি সত্ত্বা’ বোঝাতে অধিকাংশ খ্যাতনামা ভৌগোলিক তথা নৃতত্ত্ববিদ 'ethnicity' শব্দটি প্রয়োগ করে থাকেন।
3.2.1 সংজ্ঞা (Definition) :
নৃজাতিসত্ত্বা (ethnicity)-র ধারণাটিকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। যেমন—
'Encyclopaedia Britannica'- তে নৃজাতিসত্ত্বার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে—
"Ethnicity refers to the identification of a group based on a perceived cultural distinctive ness that makes the group into a 'people. This distinctiveness is believed to be express in language, music, values, art, styles, literature, family, life, religion, ritual, food, naming, public life, and material culture."
কোনও কোনও ভৌগোলিক মনে করেন—কালের নিরিখে যে সমস্ত পৃথক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সমন্বয়ে নির্দিষ্ট ভৌগোলিক জাতিগুলি তাদের পরিচয় ধরে রাখতে সক্ষম হয়, তাকেই নৃজাতিসত্ত্বা (ethnicity) বলে।
1967 সালে Webster আন্তর্জাতিক অভিধানের তৃতীয় সংস্করণের 781 পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে— "Ethnicity ordinarily refers to certain quality or affiliation based on hereditary as well as cultural consideration."
3.2.2 বৈশিষ্ট্য (Characteristics) :
নৃজাতিসত্ত্বার (ethnicity) বেশ কতকগুলি বৈশিষ্ট্য প্রতীয়মান হয়, যেমন—
(i) নৃজাতিসত্ত্বা কোনও নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকায় বসবাসকারী বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য (Cultural Tradition) এবং জাতীয়তাগত ভাবধারার সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত।
(ii) নৃজাতিসত্ত্বা হল কোনও নৃজাতিগোষ্ঠীর বিশুদ্ধতার একমাত্র মাপকাঠি।
(iii) জনগোষ্ঠীর ভাষা, ধর্ম, আদর্শবোধ, মূল্যবোধ, অনুভূতি, খাদ্যাভ্যাস, জীবনশৈলী, চিত্রকলা প্রভৃতি নৃজাতিসত্ত্বার কাঠামো তৈরি করে।
(iv) প্রত্যেকটি নৃজাতিসত্ত্বা বেশ কতকগুলি জীবনকেন্দ্রিক প্রথাকে (Rituals) অনুসরণ করে লালিত হয়।
(v) নৃজাতিসত্ত্বার মধ্য দিয়ে প্রত্যেকটি নৃজাতিগোষ্ঠীগুলিকে পৃথক পৃথক ভাবে চেনা যায়।
(vi) মর্যাদাগত (Status) দিক থেকে নৃজাতিসত্ত্বা প্রত্যেকটি নৃজাতিগোষ্ঠীর বিশ্বব্যাপী একটি পরিচয় (identiry) তুলে ধরে।
(vii) নৃজাতিসত্ত্বায় একটি সাধারণ অনুভূতি কিংবা অভিজ্ঞতা বিশেষভাবে নিবেশিত থাকে।
পটভূমি (Background) :
পৃথিবীব্যাপী নৃজাতিসত্ত্বার একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক পটভূমি রয়েছে, যার মধ্য দিয়ে কালভিত্তিক বিভিন্ন সময়ে নৃজাতিসত্ত্বা সংরক্ষিত হয়েছে। যেমন—
প্রাচীন ধারণা : মানুষের সমাজ ও গোষ্ঠীকেন্দ্রিক নৃতাত্ত্বিকসত্ত্বার প্রথম বিবরণ পাওয়া গিয়েছিল প্রাচীন গ্রিকদেশে। 480 খ্রি. পূর্বাব্দে অ্যানাক্সিমিল্ডার, হেকেটিয়াস, হেরোডোটাস প্রমুখ Ethnography এবং Historigraphy-এর আলোচনায় “Hellence’ বা ‘Hellenic' শব্দ দুটিকে ethinicity বোঝাতে ব্যবহার করেছেন। তৎকালীন গ্রিসের নিজস্ব জনগোষ্ঠীর
নিরিখে শব্দদুটির প্রয়োগ করা হয়।
সপ্তদশ শতকে দার্শনিক রুশো তাঁর “Discourse on the origin of Inequality তে, সমাজের বিভিন্ন পর্যায় মনোনিবেশ করে সমাজ থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গড়ে ওঠা সামাজিকগোষ্ঠীর উৎপত্তিগত নৃঐতিহ্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। পরবর্তীকালে নৃজাতিসত্ত্বা গঠনে মানুষের জৈবিক প্রয়োজনীয়তা বিশেষ প্রাধান্য পায়। ইউরোপীয় সমাজগুলিতে ধীরে ধীরে ধর্মতত্ত্ব, ভাষাতত্ত্ব, রাজনৈতিক তত্ত্ব, সাংস্কৃতিক মিথ্রষ্ক্রিয়া বিকশিত হতে থাকায় জনগোষ্ঠী ঐতিহ্যবাহী পরিচয়ে নৃজাতিসত্ত্বাকে একমাত্র কাঠামো (structure) রূপে গণ্য করা হয়।
> আধুনিক ধারণা : অষ্টাদশ শতক থেকে ঊনবিংশ শতকে, আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উত্থান পর্বের মধ্য দিয়ে নৃজাতিসত্ত্বার ধারণাটি আরও স্পষ্ট হতে শুরু করে। এই সময় বাণিজ্য ও পুঁজিবাদকে আশ্রয় করে গড়ে ওঠা ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক সম্প্রসারণ, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন, রাষ্ট্রের সীমানার সঙ্গে জাতি সীমানা আদর্শগতভাবে মিলিত হয়। ফলে পরিষ্কার ভাবে প্রতিটি জনগোষ্ঠীই নিজস্ব ভাবধারাগুলিকে জাগ্রত করতে সচেষ্ট হয়। এই ভাবধারাগুলিই কালক্রমে ‘ethnicity' এবং 'ethnicgroup'-এ রূপান্তরিত হয়।
1942 খ্রিস্টাব্দে বিখ্যাত নৃতত্ত্ববিদ M. F Ashley Montagu তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ “Man's Most Dangerous Myth : The fallacy of Race” গ্রন্থে ‘জাতি’ (Race) শব্দটির পরিবর্তে নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী’ (ethnic group) শব্ প্রয়োগে সর্বাধিক আগ্রহী ছিলেন।
পরে 1950 খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘ (United Nations) জাতিবিন্যাস সংক্রান্ত বিতর্কের প্রেক্ষাপটে জাতি (Race) শব্দ পরিত্যাগ করে নৃত্বাত্ত্বিক বা ‘enthnicity’ শব্দটি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। অ্যাশলে মন্টেগু, ক্লাইড, লেভি-স্টম্স,গুনার মির্ডল, জুলিয়াস হাক্সলি প্রমুখের পৃষ্ঠপোষকতায় এই সিদ্ধান্ত স্বাক্ষরিত হয়।
1953 সালে আমেরিকান সমাজতত্ত্ববিদ David Riesman সর্বপ্রথম ‘ethnic’ শব্দটিকে ব্যবহারযোগ্য করে তোলেন।
1972 সালের ‘oxford’ ইংরেজি অভিধানে 'ethnicity' শব্দটিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
1980 থেকে 1990 দশকে সামাজিক গবেষণার বিভিন্ন ক্ষেত্রে নৃজাতিসত্ত্বা (ethnicity) এবং নৃজাতিগোষ্ঠী (ethnic group) শব্দটির বহুল প্রচলন লক্ষ করা হয়।
ওয়ালম্যান 1977 সালে গ্রেটব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ ভাষায় ‘ethnic’ শব্দটিকে প্রয়োগ করার কথা বলেন। 1982 সালে বিখ্যাত নৃতত্ত্ববিদ ডেভিড ক্লেগ গ্রিফিথ (D. C Grifit), তার বিগত 40 বছরের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ‘ethnicity’-কে জাতি বা জাতিগোষ্ঠীর পরিচিতির প্রতীকরূপে ব্যাখ্যা করেন।
1992 সালে 1-3 রা এপ্রিল জাতিসংঘের সম্মেলনে জাতিসত্ত্ব ও জাতিগত মিথষ্ক্রিয়ার ধারণাকে সার্বজনীন করার কথা বিবেচিত হয়।
নৃজাতিসত্ত্বার শ্রেণিবিভাগ (Types of Ethnicity)
মানবীয় ভূগোলে নৃজাতিসত্ত্বার (enthnicity) সমন্বয়ী দৃষ্টিভঙ্গি মানুষের ঐতিহ্যবাদী নৃতাত্ত্বিক (ethnic) পরিচয়কে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। তাই সাম্প্রতিক কোনো নৃজাতিসত্ত্বার শ্রেণিবিভাগে বিভিন্ন নৃজাতিগোষ্ঠী (ethnic group)-কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এছাড়াও নৃজাতিসত্ত্বার শ্রেণিবিভাগে প্রাথমিক ও গৌণগোষ্ঠী, উপজাতি, প্রভাবশালী সংখ্যাগোষ্ঠী সংখ্যালঘু জাতিবিন্যাস প্রভৃতি বিশেষভাবে আলোচিত হয়।
/◆◆ বিভিন্ন ধরনের নৃজাতিগোষ্ঠী (Different types of ethnic group :
নৃজাতিগোষ্ঠীর (ethnic group) উৎপত্তি এবং শ্রেণিবিভাগের বিষয়টি যথেষ্ট বিতর্কবহুল। কারণ কোনও কোনও ভৌগোলিক ও নৃতত্ত্ববিদ মনে করেন বিবর্তনের প্রাথমিক স্তরেই নৃজাতিগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যতা লক্ষ করা গেছে। আবার, কোনও কোনও ভৌগোলিক ও নৃতত্ত্ববিদ সময়ের সাপেক্ষে নৃজাতিগোষ্ঠীর সাধারণ বিবর্তনকে দায়ী করেছেন। তা সত্ত্বেও উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত বিভিন্ন ঐতিহ্যের নিরিখেই নৃজাতিগোষ্ঠীর সার্বজনীন শ্রেণিবিভাগ করা হয়।
নিম্নলিখিতভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন নৃজাতিগোষ্ঠীর শ্রেণিবিভাগ উল্লেখ করা হল—
(ক) উৎপত্তিগত দিক থেকে :.
উৎপত্তিগত দিক থেকে পৃথিবীর নৃজাতিগোষ্ঠীগুলি দুটি প্রধান ভাগে বিভক্ত, যথা—
1. প্রাথমিক নৃজাতিগোষ্ঠী (Primary ethnic group)
2. গৌণ নৃজাতিগোষ্ঠী (secondary ethnic group)
1. প্রাথমিক নৃজাতিগোষ্ঠী (Primary ethnic group):-
ভৌগোলিক দিক থেকে একটি নির্দিষ্ট স্থান বা অ থেকে উদ্ভূত প্রাচীন ঐতিহাসমন্বিত জনগোষ্ঠীকে প্রাথমিক নৃজাতিগোষ্ঠী (Primary ethnic group) বলা হয়। এইসময় জাতিগোষ্ঠীগুলি এখনও তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। যেমন— লাতিন আমেরিকান নৃজাতিগোষ্ঠী
2. গৌণ নৃজাতিগোষ্ঠী (Secondary ethnic group):
পৃথিবীর যে সমস্ত জনগোষ্ঠী সমাজ ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের সাপেক্ষে অভিগমনের মধ্য দিয়ে নিজেদের প্রতিস্থাপিং করেছে গৌণনৃজাতিগোষ্ঠী (Secondary ethinic group) বলে। বর্তমানে এই ধরনের গৌণ নৃজাতিগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক প্রভূত উন্নয়ন ঘটেছে। যেমন—-অ্যাংলো ইন্ডিয়ান নৃজাতিগোষ্ঠী।
( খ ) প্রকৃতি অনুসারে:-
প্রকৃতি অনুসারে নৃজাতিগোষ্ঠী দুটি প্রধান শ্রেণিতে বিভক্ত, যথা—
1. বৃহত্তর নৃজাতিগোষ্ঠী (Majority ethnic group)
2. সংখ্যালঘু নৃজাতিগোষ্ঠী (Minority ethnic group)
1. বৃহত্তর নৃজাতিগোষ্ঠী (Majority ethinic group) : সমাজতাত্ত্বিক দিক থেকে যে সমস্ত জনগোষ্ঠী সংস্কৃতি অর্থনীতি, রাজনীতি প্রভৃতি ঐতিহ্যগত দিক থেকে যথেষ্ট শক্তিশালী তাদের বৃহত্তর নৃজাতিগোষ্ঠী (Majority ethnic group) বলা হয়। এই ধরনের নৃজাতিগোষ্ঠী নৃতাত্ত্বিক (ethnic) স্তরায়নের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অবস্থান করে।
2. সংখ্যালঘু নৃজাতিগোষ্ঠী (Minority ethnic group) : সংখ্যালঘু নৃজাতিগোষ্ঠী আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগত স্তরায়নের সর্বনিম্নে অবস্থান করে। এরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কোনও ভৌগোলিক সীমানায় বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠী হিসেবে এদের দুর্বলতা প্রকাশ করে। তবে এদের সমাজে লোকসংস্কৃতি, লোকাচার প্রভৃতি বংশপরম্পরায় সংরক্ষিত হয়।
(গ) বয়স অনুসারে:- বয়স অনুসারে নৃজাতিগোষ্ঠীকে আবার দুটিভাগে ভাগ করা হয়। যথা—
1. প্রাচীন নৃজাতিগোষ্ঠী (Old Ethnic group)
2 নবীন নৃজাতিগোষ্ঠী (Young ethnic group)
1. প্রাচীন নৃজাতিগোষ্ঠী (old ethnic group):
জাতিগত ঐতিহ্যের দিক থেকে যে সমস্ত জনগোষ্ঠী প্রথম প্রজন্মের (First Generation) বংশোদ্ভূত, তাদেরকে প্রাচীন নৃজাতিগোষ্ঠী (old ethnic group) বলা হয়। এরা এদের নিম্না পরিবেশকে অক্ষুণ্ণ রাখে। যেমন চিনা নৃজাতিগোষ্ঠী।
2. নবীন নৃজাতিগোষ্ঠী (Young ethnic group): জাতিগত ঐতিহ্যের দিক থেকে যে সমস্ত জনগোষ্ঠী খ্রিষ্টা প্রজন্মের (second generation) অন্তর্গত এবং যারা পরিব্রাজন ও জাতিগত মিশ্রণের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে তাদে নবীন নৃজাতিগোষ্ঠী (Young ethnic group) বলা হয়। এই ধরনের নৃজাতিগোষ্ঠী যে-কোনও পরিবেশে অভিযোজনে সক্ষম। যেমন—পশ্চিম কানাডিয় নৃজাতিগোষ্ঠী।
(ঘ) মহাদেশভিত্তিক নৃজাতিগোষ্ঠীর শ্রেণিবিভাগ :
বিভিন্ন মহাদেশভিত্তিক নৃজাতিগোষ্ঠীগুলিকে প্রধানত চটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমন—
1. আফ্রিকান নৃজাতিগোষ্ঠী (Ethnic groups in Africa)
2. এশিয়ান নৃজাতিগোষ্ঠী (Ethnic groups in Asia)
3. ইউরোপীয়ান নৃজাতিগোষ্ঠী (Ethnic groups in Europe)
4. উত্তর আমেরিকান নৃজাতিগোষ্ঠী (Ethnic groups in North America)
5. দক্ষিণ আমেরিকান নৃজাতিগোষ্ঠী (Ethnic groups in South America)
6. ওশিয়ানিয়ার নৃজাতিগোষ্ঠী (Ethnic groups in Oceania)
(ঙ) মানবীয় স্বতন্ত্রতার নিরিখে নৃজাতিগোষ্ঠীর শ্রেণিবিভাগ :
পৃথিবীর প্রতিটি নৃজাতিগোষ্ঠীরই সমাজে একটি নিজস্ব জৈবিক সত্ত্বা রয়েছে। তাই জনসম্প্রদায়কে স্বতন্ত্রতার নিরিখে বিভিন্ন ভৌগোলিক তাদেরকে আবার বিভিন্নভাবে শ্রেণিবিভক্ত করেছেন। যেমন—
• হ্যাডন (Haddon) (1936) এবং ক্লোগম্যান (Krogman) (1943) পৃথিবীতে তিনটি প্রধান নৃজাতিগোষ্ঠী (ethnic group)-কে শনাক্ত করেছেন। এগুলি হল—
1. ককেশীয় নৃজাতিগোষ্ঠী, 2.মঙ্গোলীয়নৃজাতিগোষ্ঠী, 3. নিগ্রোয়েড নৃজাতিগোষ্ঠী।
পরবর্তীকালে 1962 খ্রিস্টাব্দে আমেরিকান নৃতত্ত্ববিদ Carleton S. Coon তাঁর “The origin of Race" গ্রন্থে উল্লিখিত নৃজাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে আরও দুটি নৃজাতিগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করেন। যথা— 1. ককেশীয়, 2. মঙ্গোলীয়, 3. নিগ্রো, 4. অস্ট্রেলীয় এবং 5. ক্যাপয়েড নৃজাতিগোষ্ঠী।
◆◆ জাতি (Race) ও নৃজাতিসত্ত্বার (Ethnicity) পার্থক্য :
মানবগোষ্ঠীর আলোচনায় জাতি (Race) এবং নৃজাতিসত্ত্বা (Ethnicity) দুটি শব্দটি পাশাপাশি আলোচিত হলেও এদের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান। নীচে জাতি (Race) ও নৃজাতিসত্ত্বার (Ethnicity) পার্থক্য উল্লেখ করা হল—
Comments
Post a Comment