Class 9 Bangali Model Activity Task Answer Part-4 (In July 2021)

  ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :


১.১ ঈশান হলো—

 ক) উত্তর-পূর্ব কোন

খ) উত্তর-পশ্চিম কোণ

গ) দক্ষিণ-পূর্ব কোণ

ঘ) পশ্চিম কোণ

উত্তর: ক) উত্তর-পূর্ব কোন

১.২ ‘আজ আমার সংসার চলবে কীভাবে?’ – প্রশ্নটি করেছে

ক) সূচক

খ) জানুক

খ) ধীবর

ঘ) রাজশ্যালক

উত্তরখ) ধীবর

১.৩ 'বন্ধুগণ হাসবেন না।' – একথা বলেছে

ক) ইলিয়াস

খ) শাম-শেমাগি

গ) মহম্মদ শা

ঘ) মহম্মদ শার জনৈক আত্মীয়

 উত্তর: ক) ইলিয়াস

১.৪ ‘মাস্টারমশাইয়ের কাছ থেকে এইটুকুই আমার নগদ লাভ।' বক্তার লাভ হয়েছিল

ক) পাঁচ টাকা

খ) দশ টাকা

গ) পনেরো টাকা

ঘ) কুড়ি টাকা

উত্তর; খ) দশ টাকা

১.৫ ‘নোঙর’ কবিতাটি যে কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত –

ক) কুসুমের মাস

খ) শাদা মেঘ কালো পাহাড়

গ) পাতাল কন্যা

ঘ) ছায়ার আলপনা

উত্তর: খ) শাদা মেঘ কালো পাহাড়

২) কম-বেশি ১৫টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো: 


২.১ ….….... প্ৰজা চমকিত।" – প্ৰজা চমকিত কেন? -


উত্তর- কলিঙ্গদেশে প্রবল ঝড় ও বজ্রপাতের কারণে মাঠের শস্য উল্টে লন্ডভন্ড হয়ে যায় ,এই অবস্থা দেখে প্রজারা চমকিত হয়েছিল।

২.২ ধীবর-বান্ত’ নাট্যাংশে ধীবরের বাড়ি কোথায়?

উত্তর- "ধীবর-বৃত্তান্ত" নাট্যাংশ ধীবরের বাড়ি- শত্রুাবতারে। 

২.৩ "ইলিয়াস তো ভাগ্যবান পুরুষ’ কারা একথা বলত?

উত্তর- "ইলিয়াস তো ভাগ্যবান পুরুষ" একথা ইলিয়াসের প্রতিবেশীরা বলতো।

২.৪ ‘মনে এল মাস্টারমশাইয়ের কথা।' - - কখন এমনটি ঘটেছে?

উত্তর- আলোচ্য উদ্ধৃতিটি নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায় লেখা 'দাম' গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।যখন একটি পত্রিকার পক্ষ থেকে ছেলেবেলার গল্প লেখার ফরমাশ এসেছিল,তখন কথকের মনে মাস্টারমাশাইয়ের কথা এসেছিল।

২.৫" ..... বিরামহীন এই দাঁড় টানা।” – কবি দাঁড় টানাকে ‘বিরামহীন’ বলেছেন কেন?

উত্তর- → আলোচ্য অংশটি মিতভাষী কৰি অজিত দত্তের লেখা শাদা মেঘ কালো পাহাড়' কাব্য গ্রন্থের অর্ন্তগত নোহর কবিতা থেকে সংগৃহীত হয়েছে।

              কবি বিরামহীন দঁাড় টেনে নৌকাটিকে উদ্দিষ্ট গন্তব্যে নিয়ে যেতে চান। তটের কিনারে নোঙরের কাছিতে বাঁধা পড়েছে নৌকাটি। দূর দেশে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছে ব্যাকুল কবির মন মানতে চায়না। অসংখ্য বন্ধনময় অবস্থাকে অতিক্রম করে কবির ভাবনা অজানা লোকে পৌঁছতে চাই। তাই বৃথা প্রচেষ্টা জেনেও তিনি অবিরাম দার টেনে চলেছেন।

প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো :


৩.১ 'চন্ডীর আদেশ পান বীর হনুমান।' - চন্ডীর পরিচয় দাও। তিনি হনুমানকে কী আদেশ দিয়েছেন?


উত্তর:  চন্ডী হিন্দু দেবতা। তিনি দেবী দুর্গার রূপভেদ এবং ‘শক্তি’ নামে পরিচিত।


চন্ডী হনুমানকে কলিঙ্গের মঠ, অট্টালিকা ভাঙার আদেশ দেয়।


৩.২ 'কীভাবে এই আংটি আমার কাছে এল তা বললাম।'- বক্তা কে? আংটি প্রসঙ্গে সে কী বলেছে?

উত্তর: মহাকবি কালিদাস রচিত সংস্কৃত নাটক অভিজ্ঞান শকুন্তলম থেকে আলোচ্য ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশে ধীবর এ কথাটি বলেছেন।


একদিন ধীবর রুইমাছের পেট থেকে একটা আংটি পেলে সেটা বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে গেলে রাজার শ্যালক দুই রক্ষী সহ তাকে জিজ্ঞেস করলে ধীবর জানায় সে মাছের পেট থেকে আংটি পেয়েছে।


৩.৩ মহম্মদ শা কোন্ গল্পের চরিত্র। তাঁর প্রকৃতি কেমন?

উত্তর:  মোহম্মদ শা ইলিয়াস গল্পের একটি চরিত্র।

           মহম্মদ শাহঃ প্রধান চরিত্র ইলিয়াসের মধ্যবিত্ত প্রতিবেশী মহম্মদ শাহ। গল্পে তার চরিত্রের যে দিকগুলি দেখা যায় সেগুলি হল-


পরোপকারীঃ ইলিয়াসের দুঃখের সময় তিনি ইলিয়াস ও তার স্ত্রীকে তার বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন।


বিনয়ীঃ মহম্মদ শাহের সাথে ইলিয়াস ও তার স্ত্রীয়ের প্রভু – ভৃত্যের সম্পর্ক থাকলেও, তিনি কখনই বৃদ্ধ দম্পতির সাথে খারাপ ব্যবহার বা প্রভুসুলভ আচরণ করতেন না।


৩.৪ 'স্বর্গের দরজাতেও ঠিক এই কথাই লেখা রয়েছে' - কোন্ কথা? বক্তার এমন মন্তব্যের কারণ কী?


উত্তর:  উদ্ধৃতি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় এর লেখা দাম গল্প থেকে নেওয়া হইয়েছে।মাস্টারমশাই বলতেন যে প্লেটোর দোরগোড়ায় কি লেখা আছে জানিস যে অঙ্ক জানে না তার প্রবেশ নিষেধ।গল্প অনুযায়ী একই কথা লেখা আছে স্বর্গের দরজায়। তার একথা বলার কারণ তিনি কল্পনা করতে পারেন না যে পুরুষ হইয়ে অঙ্ক না পারা।

৩.৫ 'আমার বাণিজ্য-তরী বাঁধা পড়ে আছে'। - কোন্ বাণিজ্য তরী? সেটি বাঁধা পড়ে আছে কেন?

উত্তর:  এখানে বাণিজ্য – তরী কবির জীবন।


পোমাদের কবি অজিত দত্ত তার নোঙর কবিতায় আমাদের শুনিয়েছেন এক ব্যর্থ সমুদ্রযাত্রা। যে যাত্রায় বেরিয়ে তিনি তটের কিনারে আটকে গেছেন। রূপকের অন্তরালে মধ্যবিত্তের গন্ডি পথ জীবন থেকে মুক্ত হবার কথা কে ব্যক্ত করেছেন। মধ্যবিত্তের আশা-আকাঙ্ক্ষা রুপি । জোয়ারের ঢেউ গুলি ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। ভাটা শোষণে জোয়ারের উদ্দামতা যেমন। প্রাণহীন হয়ে পড়ে ঠিক তেমনই মানুষের জীবনের নানান প্রতিবন্ধকতা ও সাংসারিক চাহিদা মেটাতে গিয়ে সেও হয়ে পড়ে প্রাণীহীন। তবুও মানুষ দাড় টানে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। যদিও তা বিদ্রুপের মতো শোনায়। আসলে একদিনে সুদূরের হাতছানি আর অন্যদিকে গণ্ডিবদ্ধতা এই দুই বৈপরীত্য বাধা মানুষের জীবন। তা কোনদিনও ছিন্ন করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই কবি উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছেন যা অতি বাস্তব।

৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লিজের ভাষায় লেখো (কম-বেশি ১৫০ শব্দ) :


৪.১ 'নিরবধি সাতদিন বৃষ্টি নিরন্তর।'- এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় কলিঙ্গবাসীর জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছিল তা আলোচনা করো।


 উত্তর:  দেবী  চণ্ডীর এক টানা সাতদিন সীমাহীন বর্ষণের ঝড়ের তাণ্ডবে কলিঙ্গের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বৃষ্টি আর মেঘের গর্জন এর ভিত হয়ে প্রজারা সব ঘর ছেড়ে পালাতে শুরু করলো ।ক্ষেতের ফসল সব উল্টে পাল্টে পড়ে থাকল তাতে পচন ও ধরে গেল । জল ও স্থল ও পথ ঘাট আলাদা করে কিছু বোঝা যায় না।সাপ সব রাস্তায় চড়ে বেড়ায়। আকাশে ঘন ঘন বাঝ পরে। বাজে এর শব্দ কেউ কারো কথা শুনতে পায় না । ভীতু হয়ে জয়মনি মুনিকে স্মরণ করেন। এক কথায় সাতদিন অবিরাম বৃষ্টিতে প্রজাদের দুর্দশা চরম অবস্থায় পৌছাই ।


৪.২ 'সেই আংটি মহারাজের কোনো প্রিয়জনের কথা মনে পড়েছে।' - মন্তব্যটির প্রসঙ্গ নির্দেশ করে আংটিটি দেখে মহারাজের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল, তা বুঝিয়ে দাও। 


উত্তরমহাকবি কালিদাস রচিত সংস্কৃত নাটক অভিজ্ঞান শকুন্তলম এর ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশে মহারাজার আংটি দেখে প্রিয়জনের কথা মনে পরে যায়, ধীবর কে নির্দোষ ঘোষণা করে প্রিয় জনের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য তাকে পুরস্কৃত করেন।



৪.৩ 'ইলিয়াস' গল্প অনুসরণে ইলিয়াস চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো।

উত্তর:- 

  ইলিয়াসঃ গল্পের প্রধান চরিত্র ইলিয়াস। ইলিয়াস জীবনের দুটি দিকই দেখেছে, স্বাচ্ছন্দ্য এবং অভাব। গল্পে তার চরিত্রের যে দিকগুলি দেখা যায় সেগুলি হল


পরিশ্রমী ও কর্মঠঃ শুধুমাত্র তার কঠোর পরিশ্রমের ফলে তার বাবার রেখে যাওয়া সামান্য সম্পত্তি থেকে বিপুল সম্পত্তি লাভ করেছিল। সে সকাল থেকে রাত অবধি কাজ করত।


অতিথি বাৎসল্যঃ ইলিয়াস তার সকল অথিতিদের সাধ্য মত সেবা করত ও তাদের উপহার দিত। যেকোনো অতিথি এলেই তাকে নিজে হাতে কুমিস, চা, শরবৎ আর মাংস দিয়ে আপ্যায়ন করত। w


অদম্য মানসিকতা ও ঈশ্বর বিশ্বাসঃ প্রবল পারিবারিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা থাকলেও, সে কখনো জীবন ও ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস হারায়নি। সকল অবস্থাই সে হাসি মুখে মেনে নিয়েছে।


৪.৪ 'আমার ছাত্র আ,আকে অমর করে দিয়েছে।'- বক্তা কে? কেন তাঁর এমনটি মনে হয়েছে?


উত্তর:-উদ্ধৃতাংশটির বক্তা হলেন দাম গল্পের প্রধান চরিত্র সুকুমারের ছেলেবেলার অংকের শিক্ষক।


সুকুমারের ছেলেবেলায় এই স্যার ছিলেন তাঁর কাছে একজন বিভীষিকা ।বড় হওয়ার পরে যখন তিনি একজন স্বনামধন্য লেখক তখনও তাঁর মন থেকে ওই শিক্ষকের ভীতি দূর হয়নি। তাই তিনি এক পত্রিকায় ওই স্যার কে নিয়ে বঙ্গ করে এক গল্প লেখেন। কিন্তু পরবর্তীকালে লেখকের যখন আবার তার স্যার সঙ্গে দেখা হয় তখন তিনি জানতে পারেন যে স্যার স্নেহের বশবর্তী হয়ে লেখকের সব দোষ ক্ষমা করে দিয়েছেন। এবং তিনি মনে করেন যে এই লেখার মাধ্যমে লেখক তাঁকে ওমর করে দিয়েছেন।


৪.৫ 'নোঙর গিয়েছে পরে তটের কিনারে।' - উদ্ধৃতিটির আলোকে ।নোঙর' কবিতায় কবির আক্ষেপ কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে, তা নির্দেশ করো।

উত্তর: নোঙর হলো, একটি নৌকাকে জলের মধ্যে বেঁধে রাখার এক ভারি বস্ত্ত বিশেষ । যেহেতু কবিতাটি একটি প্রতীকী কবিতা, সেহেতু সহজ সরলতার মধ্যে দিয়ে কবি জীবনের গূঢ় সত্যকে তুলে ধরেছেন। নোঙর এখানে মানবজীবনের বন্ধন। যা মানুষের জীবনকেও নৌকোর মত বেঁধে রাখে । সম্পর্ক, 4 দায়িত্ববোধের নোঙরে বাঁধা কবির জীবন। যাঁরা ভাবুক, সৃষ্টিশীল রোমান্টিক মানুষ তাঁরা জীবনের সমস্ত বন্ধন কাটিয়ে বাস্তব থেকে অনেক দূরে চলে যেতে চান। কিন্তু নোঙররুপ জীবনের বন্ধন তাঁর সাধপূরণের প্রধান অন্তরায়। তাই কবির উপলব্ধি – জোয়ার ভাটায় এ তটের কাছে "আমার বাণিজ্যতরী বাঁধা পড়ে আছে ‘‘। সুদূরের আহ্বানকে তিনি উপেক্ষা করতে পারেন না, আবার জীবনের সীমাবদ্ধতা থেকেও বেরিয়ে আসতে পারেন না কবি। তাই তার মনে হয়েছে জীবনটা নোঙরে বাঁধাপড়া এক নৌকা।


৫. নির্দেশ অনুযায়ী উত্তর দাও :


৫.১ শ্লোক > শোলোক- এক্ষেত্রে ঘটেছে

(ক) আদিস্বরলোপ

(খ) আদিস্বরগম

(গ) মধ্যস্বরাগম

(ঘ) মধ্যব্যঞ্জনাগম। (ঠিক বিকল্পটি বেছে নিয়ে লেখো)


উত্তরঃ(গ) মধ্যস্বরাগম


৫.২ 'অ্যা' হলো একটি

 (ক) সংবৃত স্বরধ্বনি

 (খ) বিবৃত স্বরধ্বনি

(গ) অর্ধবিবৃত স্বরধ্বনি

(ঘ) অর্ধসংবৃত স্বরধ্বনি। (ঠিক বিকল্পটি বেছে নিয়ে লেখো)


উত্তরঃ (গ) অর্ধবিবৃত স্বরধ্বনি


৫.৩ বিদেশী উপসর্গযোগে উৎপন্ন একটি শব্দ হলো -

(ক) আমজনতা

(খ) প্রতিদ্বন্ধী

(গ) অনশন

(ঘ) দুর্জয় । (ঠিক বিক1 of 15798 Words খা) 13


উত্তরঃ (ক) আমজনতা


৫.৪ মৌলিক ও সাধিত ধাতুর একটি পার্থক্য লেখো

 উত্তরঃ  মৌলিক ধাতুতে প্রত্যয় যুক্ত হয় না, যেমন -পড় সাধিত ধাতুতে প্রত্যয় যুক্ত হয়, যেমন-দেখ্+আ=দেখা


৫.৫ ধাত্ববয়ব প্রত্যয়ের একটি উদাহরণ দাও।

 উত্তরঃ  দেখ্+আ =দেখা


৫.৬ অনুসর্গের অন্য দুটি নাম উল্লেখ করো। উত্তরঃঅনুসর্গের অন্য দুটি নাম

১)পরসর্গ

২)কর্ম প্রবচনীয়

৬. ভাবসম্প্রসারণ করো :


'ধর্মের নামে মহ এসে যারে

 ধরে অন্ধ সে জন মারে আর শুধু মরে।'--


ভাবসম্প্রসারণ :  মানবসভ্যতা ধর্মজীবনকে যে ধারায় বিকশিত করার অঙ্গিকার নিয়ে পথ চলা শুরু করেছিল, তার অন্তরে মোহ নামক অধর্মের ভণ্ডামি যুক্ত হতেই প্রকৃত হিতসাধন থেকে তা বিচ্যুত হয়। জীব যা ধারণ করে তা আর ধর্ম থাকে না, বরং তার বিপরীতে ধর্মকে কলুষতা গ্রাস করে। ফলে মানুষ কেবল নিজ ধর্মের প্রতি আকর্ষণ ও অন্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে। ধর্ম পরিণত হয় ধর্মান্ধতায়। তখন ধর্মের অন্তরের মানবপ্রেম তথা উদারতা লুপ্ত হয়ে “হিংসায় উন্মত্ত পৃথ্বী’-তে রূপান্তরিত হয়। ধর্মের মোহ মানুষের মধ্যে হানাহানি, স্বার্থপরতা সৃষ্টি করে, ফলত মানবসভ্যতার অগ্রগমনে বাধা সৃষ্টি হয়। 


               ধর্মের ব্যাপ্তি চিরন্তন মানবপ্রেমের সৌভ্রাতৃত্বের সুদৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ। ধর্ম মানুষকে আপন করে নেয়। হিংসা-দ্বেষ, স্বার্থের কুটিল গ্রাস থেকে মানুষকে মুক্ত করাই এর প্রাথমিক শর্ত। যুগে যুগে ধর্মবেত্তাগণ উদার মানবধর্মের জয়গানে বিশ্বময় মানুষকে একসূত্রে বাঁধার প্রচেষ্টা করে গেছেন। সুমহান মানবপ্রীতি ও ঐক্য সংস্থাপন করে মানুষের ‘ক্ষুদ্র আমি’-কে ‘বৃহৎ আমি’-তে রূপান্তরিত করে ধর্ম। অথচ ধর্মের দীর্ঘকালীন লালিত আস্থা-বিশ্বাসকে পদদলিত করে একদল মানুষ ধর্মের ধ্বজা তুলে পারস্পরিক দ্বন্দ্বে লিপ্ত। পৃথিবীময় মৈত্রী ও শান্তির সাম্রাজ্যে কূট ষড়যন্ত্র জাল বিস্তার করে ধর্মকে সভ্যতা বিরোধী, মানবসভ্যতার উন্নতির অন্তরায় করে তোলার প্রচেষ্টায় রত এক দল মানুষ। ধর্ম হয়ে পড়ছে শোষণ-বঞ্চনা তথা মানুষের জীবন ধ্বংসের অন্যতম মাধ্যম। মানুষের লোভ-হিংসা-স্বার্থপরতা ধর্মের মোহে আচ্ছাদিত হয়ে পৃথিবীর বুকে চরম অশান্তির কারণ হয়ে উঠেছে। জাতিতে জাতিতে ধর্মে ধর্মে হানাহানি, রক্তক্ষয়ী সংঘাত পৃথিবীর সুখ ও শান্তিকে পদদলিত করে চলেছে। সত্য-শিব-সুন্দরের আদর্শ থেকে সরে এসে ধর্ম সমাজকে অন্ধত্বের দিকে চালিত করে। ধর্ম হয়ে ওঠে শোষকের হাতিয়ার, মানব কল্যাণের পরিবর্তে মানবাত্মাকে হনন করাই যেন এর মূল প্রতিপাদ্য শিথিবীময় ধর্মের অন্ধ মোহের মোড়কে মনুষ্যত্ব, বিবেক তথা সভ্যতা পদদলিত হচ্ছে হীনতার আক্রমণে। আত্মঘাতী ভ্রাতৃঘাতী দাঙ্গায় সভ্যতারই বিলয় ঘটে। ধর্মে ধর্মে হানাহানি, রক্তক্ষয়ী সংঘাত পৃথিবীর সুখ ও শান্তিকে পদদলিত করে চলেছে। সত্য-শিব-সুন্দরের আদর্শ থেকে সরে এসে ধর্ম সমাজকে অন্ধত্বের দিকে চালিত করে। ধর্ম হয়ে ওঠে শোষকের হাতিয়ার, মানব কল্যাণের পরিবর্তে মানবাত্মাকে হনন করাই যেন এর মূল প্রতিপাদ্য। পৃথিবীময় ধর্মের অন্ধ মোহের মোড়কে মনুষ্যত্ব, বিবেক তথা সভ্যতা পদদলিত হচ্ছে হীনতার আক্রমণে। আত্মঘাতী ভ্রাতৃঘাতী দাঙ্গায় সভ্যতারই বিলয় ঘটে।




Class 9 Bengali  Model  Activity Task Answer_____-___________(CLICK)

Class 9 History Model Activity Task answers______________.   (CLICK)

Class 9 Geography Model Activity Task answers__________.     (Click)






model activity task class 9 geography part 4, model activity task class 9 english part 4, model activity task class 9 math part 4 answers, model activity task class 9 physical science part 4, model activity task class 10 pdf all subject answer, model activity task class 9 geography part 4, model activity task class 9 pdf all subject answer, model activity task class 10 geography part 3, model activity task class 9 geography part 4 answers, model activity task class 9 history part 4 2021, model activity task class 9 geography part 4, model activity task class 9 english part 4, model activity task class 9 math part 4 answers, model activity task class 9 physical science part 1, model activity task class 9 all subjects part 1 answer, model activity task class 9 all subjects part 4 answer


Comments

Popular posts from this blog

হড়পা বান (Flash Flood): হড়পা বান কাকে বলে, ইহার বৈশিষ্ট্য ও কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে

মৌসুমি বিস্ফোরণ কাকে বলে ? মৌসুমি বিস্ফোরণের উৎপত্তির কারণ গুলি আলোচনা কর

চলক ও ধ্রুবকের মধ্যে পার্থক্য (Difference between Variable and Constant)