Class 8: Class 8 geography Model Activity Task answer Part-5 ----geographyhonour
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :
১.১ কৰ্কটীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত নিয়ত বায়ু হলো
ক) দক্ষিণ-পূর্ব আয়
খ) উত্তর-পূর্ব আয়নবায়ু
গ) দক্ষিণ-পশ্চিম পশ্চিমাবায়ু
ঘ) উত্তর-পশ্চিম পশ্চিমাবায়ু
উত্তরঃ খ) উত্তর-পূর্ব আয়নবায়ু
১.২ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো
ক) বজ্রপাতসহ প্রবল বৃষ্টি – সিরাস মেঘ -
খ) জলীয় বাষ্পের জলকণায় পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া – বাষ্পীভবন
গ) বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল – পর্বতের প্রতিবাত ঢাল
ঘ) ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে সর্বনিম্ন বায়ুচাপ – ঘূর্ণবাতের চোখ
উত্তরঃ ঘ) ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে সর্বনিম্ন বায়ুচাপ – ঘূর্ণবাতের চোখ
১.৩ পৃথিবীর বৃহত্তম মিষ্টি জলের হ্রদ হলো
ক) হুরণ
খ) ইরি
গ) সুপিরিয়র
ঘ) মিশিগান
উত্তরঃ গ) সুপিরিয়র ।
২. শূণ্যস্থান পূরণ করো :
২.১ উত্তর-পশ্চিম ভারতে প্রবাহিত একটি স্থানীয় বায়ু হলো__লু__ ।
২.২ কোনো একটি নির্দিষ্ট সময়ে সমপরিমাণ বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থানগুলিকে মানচিত্রে ______সমবর্ষণ_____ রেখার সাহায্যে যুক্ত হয়।
২.৩ দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ পর্বতের পশ্চিমে অবস্থিত পৃথিবীর অন্যতম শুষ্ক অঞ্চল_____আটাকামা____ ।
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৩.১ উত্তর আমেরিকার প্রেইরি সমভূমি দুগ্ধশিল্পে উন্নত কেন?
উত্তরঃ. উত্তর আমেরিকার প্রেইরি অঞ্চল দুগ্ধশিল্পে উন্নত, কারণ—
বিস্তীর্ণ তৃণভূমি : উত্তর আমেরিকার প্রেইরি অন্যতম তৃণভূমি অঞ্চল যা পশুচারণের পক্ষে উপযুক্ত।
পশুখাদ্য : এখানে আলফা আলফা, হে, ক্লোভার, ভুট্টা প্রভৃতি প্রচুর পরিমাণে জন্মায়। এগুলি পশুদের প্রধান খাদ্য । তাই এই পশুচারণ ক্ষেত্র হিসেবে বিখ্যাত। এই সমস্ত পশুর ওপর নির্ভর করেই এখানে দুগ্ধশিল্প উন্নতি লাভ করেছে।
উন্নত সংরক্ষণ ব্যবস্থা : দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য এখানে উন্নতমানের হিমাগারও গড়ে উঠেছে।
চাহিদা : এখানে উৎপন্ন দুগ্ধজাত দ্রব্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
৩.২ পৃথিবীর বৃহত্তম নদী অববাহিকার তিনটি ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তরঃ পৃথিবীর বৃহত্তম নদী অববাহিকার ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য গুলি হলো-
● আমাজন অববাহিকা নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে অবস্থিত। এখানে সারা বছর প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়।
● দক্ষিণপূর্ব আয়ন বায়ুর প্রবাহ পথে আন্দিজ পর্বতমালা অবস্থান করায় জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু পর্বতে বাধা প্রাপ্ত হয়ে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত ঘটায়।
● আমাজন অববাহিকার আয়তন ৭০,৫০,০০০ বর্গ কিমি। প্রতি সেকেন্ডে জলপ্রবাহের পরিমাণ ২,০৯,০০০ ঘন মিটার
● আমাজন নদীর উপনদীর সংখ্যা প্রায় ১,০০০-এর ও বেশি। এই উপনদীগুলো বেশ দীর্ঘ (ভারতের গঙ্গা নদীর মতো)।
৪. বায়ুচাপ বলয়গুলির অবস্থান পরিবর্তন দুই গোলার্ধের ৩০° থেকে ৪০° অক্ষরেখার মাঝের স্থানগুলির জলবায়ুর উপর বিশেষ প্রভাব ফেলে'— উপযুক্ত উদাহরণসহ বিষয়টি ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ বায়ুর চাপ বায়ুর উষ্ণতা ওপর নির্ভর করে এবং বায়ুর উন্নতা নির্ভর করে বিভিন্ন অক্ষাংশে সূর্যরশ্মির পতনকোণের ওপর সূর্যের বার্ষিক আপাতগতির (রবিমার্গ) জন্য একই অক্ষাংশে প্রতিদিন মধ্যাহ্নে সূর্যরশ্মির পতনকোণের মান এক হয় না। ফলে, অক্ষাংশভেদে বায়ুর উন্নতার পরিবর্তন ঘটে, যার জন্য চাপেরও পরিবর্তন ঘটে।
এই কারণে সূর্যের উত্তরায়ণের সময় বায়ুচাপ বলয়গুলি 5°–10° উত্তরে এবং দক্ষিণায়নের সময় বায়ুচাপ বলয়গুলি 5°-10% দক্ষিণে ক্রমশ সরে যায়। একেই বলে বায়ুচাপ বলয়ের সীমানা/স্থান পরিবর্তন। এর সঙ্গে সঙ্গে নিয়ত বায়ুপ্রবাহও তার স্থান পরিবর্তন করে। তবে নিরক্ষীয় ও ক্রান্তীয় চাপবলয়গুলি উত্তর-দক্ষিণে বেশি সরে, মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় ও মেরুদেশীয় চাপবলয়গুলি তুলনায় কম সরে। সাধারণত উভয় গোলার্ধে 25°- 40° অক্ষরেখার মধ্যবর্তী অঞ্চলে এই প্রভাব বেশি দেখা যায়।
কারণ : ১.স্থলভাগ ও জলভাগের অসম বণ্টন, গু পৃথিবীর আপাত পরিক্রমণ গতির ফল,
২.সূর্যরশ্মির পতনকোণের পার্থক্য, ® ভূমিরূপের উচ্চতার পার্থক্য,
৩.নিরক্ষরেখা থেকে মেরু পর্যন্ত পৃথিবীর আবর্তন বেগের তারতম্য প্রভৃতি কারণে বায়ুচাপ বলয়গুলির স্থান পরিবর্তন ঘটে।
প্রভাব : সূর্যের উত্তরায়ণের** সময় নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় 5°–10° উত্তরে সরে যাওয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ু নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে উত্তর গোলার্ধে প্রবেশ করে ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। আবার, এই সময় কৰ্কটীয় উচ্চচাপ বলয় উত্তরে সরে যাওয়ায় ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে গ্রীষ্মকাল শুষ্ক হয়।
দক্ষিণায়নের** সময় শীতকালে পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে পশ্চিমাংশে বৃষ্টিপাত হয়, কিন্তু পূর্বাংশে বৃষ্টিপাত হয় না। আবার, গ্রীষ্মকালে আয়ন বায়ু উত্তরে সরে গেলে এই অঞ্চলের পূর্বভাগে বৃষ্টিপাত হয় (যেমন— আর্জেন্টিনার দক্ষিণাংশ বা সুদান), কিন্তু পশ্চিমভাগে বৃষ্টিপাত হয় না (যেমন— চিলির দক্ষিণাংশ)। সুতরাং, সূর্যের আপাত বার্ষিক গতির সঙ্গে বায়ুর চাপবলয়গুলি ও নিয়ত বায়ুপ্রবাহ বিশেষভাবে সম্পর্কিত। শুধু তাই নয়, বৃষ্টিপাতও সূর্যের অবস্থান দ্বারা প্রভাবিত হয়। তাই বলা হয়, ‘বৃষ্টিপাত সূর্যকে অনুসরণ করে' (Rain follows the sun)।
Comments
Post a Comment