Class 8: অষ্টম শ্রেণীর স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা মডেল এক্টিভিটি টাস্ক প্রশ্ন উত্তর(Part-8) --geographyhonour
(ক) শূন্যস্থান পূরণ করো :
(1) W.H.O. এর পুরো নাম_____world______ Health Organisation!
(২) বিদ্যালয়ের পানীয় জলের উৎস সর্বদা_______নিরাপদ__________ সুরক্ষিত হতে হবে ।
(৩) স্বাস্থ্যবিধান হলো বিজ্ঞানসম্মত এমন একটি বিষয় যা জানলে ______শরীরকে__________সুস্থ, সুন্দর ও নিরোগ রাখা যায়।
(৪) দরিদ্র পরিবারগুলির চিকিৎসা ব্যয় এর ৬০,_______শতাংশই__________খরচ হয় স্বাস্থ্য বিধানের অভাবজনিত জলবাহিত রোগের চিকিৎসায়।
(৫) কোনো দেশের জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান কত উন্নত তার উপর নির্ভর করে ওই দেশের মানব______উন্নয়ন__________সূচক ।
(৬) শারীরশিক্ষার লক্ষ্য ব্যক্তিসত্তার_______পূর্ণবিকাশ___________
(৭) দ্রুততার সঙ্গে দিক পরিবর্তনের ক্ষমতা নির্ভর করে_______ক্ষিপ্রতার____________ উপর।
(৮) 50 মিটার_________ট্র্যাক___________গতি নির্দেশ করে।
(৯) প্রতিদিন শারীরিক ক্রিয়াকলাপে অংশগ্রহণ_____শরীরের অভ্যন্তরীণ_____- বিভিন্ন যন্ত্র ও তন্ত্রগুলির উপর প্রভাববিস্তার করে।
(১০) গ্রামের খোলা জায়গায়________মলত্যাগের__________কোনো চিহ্ন থাকবে না।
(১১) সমস্ত জলের উৎসে যথার্থ সিমেন্টের ______চাতাল__________ও_________জল_________নিকাশের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
(১২) প্রতিটি শৌচাগারে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাভাবিক_______আলো বাতাসের________সন্ধান রাখতে হবে ।
(১৩) খাটাল, শুকরের খামার, মুরগির পোলট্রি প্রভৃতি অতি ঘন _____জনবসতীপূর্ণ________এলাকা থেকে দূরে রাখতে হবে।
(১৪) গ্রামের পরিবেশ______নির্মল________করে গড়ে তোলবার জন্য বৃক্ষরোপণ ও সবুজায়নের উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।
(১৫) নলকূপ ও নদীর জল ______নিরাপদ______পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
(১৬) জনস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য সার্বিক স্বাস্থ্যবিধান অভিযানকে একটি_______সামাজিক_________আন্দোলনের রূপ দিতে হবে ।
(খ) বহুর মধ্যে থেকে সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে " চিহ্ন দাও :
(১) কোনটি শারীরিক সক্ষমতার দক্ষতা সম্পর্কিত উপাদান?
উত্তরঃ; (ii) গতি
(২) শারারিক সক্ষমতার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত উপাদানটি হল_____(iii) পেশি সহনশীলতা________
(৩) ১৯০৭ সাল থেকে পরপর তিন বার ট্রেডস কাপ জেতে কোন ক্লাবঃ
উত্তরঃ; মোহনবাগান ক্লাব
(৪) কখন 'স্প্লিন্ট' ব্যবহার করা হয় ?
উত্তরঃ; (iii) অস্থিভঙ্গের ক্ষেত্রে
(৫) এই আসনটি দীর্ঘদিন অনুশীলন করলে হাতের পেশি সুগঠিত হয়। কাঁধ, ঘাড় ও পেটের পেশির শক্তি বৃদ্ধি পায়। হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। কিন্তু কোমরে, হাঁটুতে ও হাতে চোট-আঘাত থাকলে এই আসনটি অভ্যাস করা উচিত নয়। এই আসনটির নাম কী?
উত্তরঃ; (i) কুকুটাসন
(৬) এই আসনটির অভ্যাসের সময় শ্বাসক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে। এই আসন অনুশীলনের ফলে মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বৃদ্ধি পায়। পিঠের মাংসপেশিগুলিকে সুস্থ ও সবল রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এই আসনটির নাম কী?
উত্তরঃ; ii) হলাসন
(৭) পা জোড়া রেখে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে কোমরের উপরের অংশকে সামনের দিকে বাঁকিয়ে কপাল হাঁটুকে স্পর্শ করে থাকবে এবং হাতদুটি পায়ের দু-পাশে মাটি স্পর্শ করবে। এই আসনটির নাম কী?
উত্তরঃ; (iii) পদহস্তাসন
(৮) শিক্ষার্থীদের শরীরে আয়োডিন নামক খনিজ মৌলটির অভাব হলে কী কী উপসর্গ দেখা দেবে?
উত্তরঃ; (v) সবকয়টি(চোখে ট্যারাভাব,ক্লান্তিভাব,পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়া,গলগণ্ড)
(৯) কোন্ রোগটি আয়রন নামক খনিজ মৌলের অভাবজনিত রোগ?
উত্তরঃ; iv)রক্তাল্পতা
(১০) কোনটি ভিন্ন ধরনের রোগ?
উত্তরঃ (iii) টিটেনাস
(১১) যদি উত্তরটি হয় এডিস মশা, তাহলে প্রশ্নটি কী ছিল?
উত্তরঃ iii) কোন মশা কামড়ালে ডেঙ্গু রোগ হয়?
(১২) কখন কখন হাত ধুতে হবে?
উত্তরঃ (v) (i) + (ii) + (iii) নং ক্ষেত্রে
(গ) সারণির মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করো :
বাঁদিকের সঙ্গে------------->ডানদিকের অংশ মেলাও
(১) গতি------------------------->iii) ন্যূনতম সময়ে অতিক্রান্ত দূরত্ব
(২) প্রতিক্রিয়া সময়------------------------->iv) নির্দেশ ও কাজ শুরুর মধ্যবর্তী সময়
(৩) নমনীয়তা------------------------->(i) অস্থিসন্ধির সঞ্চালন ক্ষমতা
(8) ক্ষিপ্রতা------------------------->(ii) শাটল রান
(৫) ১৮৫৪------------------------->(vi) হাওয়া ভরতি চামড়ার বলে কলকাতায় ফুটবল খেলা শুরু
(৬) জীতেন্দ্রকৃষ্ণ দেব------------------------->(v) শোভাবাজার ফুটবল ক্লাব
(ঘ) টীকা লেখো:
(১) মিড-ডে মিল ; ক্ষুধার্ত শিশু বা অসুস্থ শিশু কেউই সঠিকভাভে পড়াশোনা করতে পারে না । এই প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য মিড টেবিলে প্রকল্প শুরু করেছে ।
মিড টেবিলে প্রকল্পের উদ্দেশ্য গুলি হলো -
১. শিক্ষাথীদের মধ্যে পুষ্টির পরিমান বৃদ্ধি করা।
২.সমাজের অনগ্রসর অংশের দরিদ্র শিশুদের নিয়মিত স্কুল এ আসতে উৎসাহিত করা ।
৩.স্কুল ছুটের সংখ্যা কমানো ।
(২) নির্মল গ্রাম: সার্বিক স্বাস্থ্যবিধান অভিযানের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছোতে উৎসাহ দেবার জন্য ভারত সরকার ২০০৩) সালের অক্টোবর মাসে নির্মল গ্রাম পুরস্কার চালু করে। প্রথমবার এই পুরস্কার দেওয়া হয় ২০০৫ সালে। সার্বিক স্বাস্থ্যবিধান অভিযানে যেসব পঞ্চায়েত ও অন্যান্য যেসব সংস্থা গ্রামীণ এলাকায় উল্লেখযোগ্য কাজ করছে তাদের প্রচেষ্টা ও অবদানকে স্বীকৃতি দিতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। নির্মল বাংলা অভিযানের অংশ হিসাবে নির্মল গ্রাম গঠনই প্রধান লক্ষ্য।
নির্মল গ্রাম গঠনের উদ্দেশ্য
১) স্বাস্থ্যবিধান অভিযানকে গ্রামীণ ভারতের সামাজিক উন্নয়নের আলোচনার প্রথম সারিতে নিয়ে আসা।
২) গ্রামে খোলা মাঠে মলত্যাগ বন্ধ করে সুস্থ নির্মল পরিবেশ গড়ে তোলা, যাতে এই গ্রামগুলিকে আদর্শ করে অন্যান্য গ্রামগুলিকে এই অভিযানে শামিল করানো যায়।
৩) প্রকাশ্যে মলত্যাগের অভ্যাস দূর করে ও নির্মল পরিবেশ গড়ে তুলবার জন্য পঞ্চায়েতকে উৎসাহ দেওয়া।
(ঙ) কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :
(১) শারীরিক সক্ষমতার প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করো।
উত্তরঃ শারীরিক সক্ষমতা প্রত্যেক মানুষের জীবনে একটি মূল্যবান সম্পদ। সুস্থ, সবল ও স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনযাপনে শারীরিক সক্ষমতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শারীরিক সক্ষমতার মূল উৎস হলো ব্যায়াম। সঠিক পদ্ধতিতে শরীরচর্চা ও বিজ্ঞানসম্মত অনুশীলনে নিম্নলিখিত ফলগুলি লাভ করা যেতে পারে---
●স্বাস্থ্যের বিকাশ:
১। শরীরের অভ্যন্তরীণ যন্ত্র ও তন্ত্রগুলির উন্নতি, যেমন ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড, পরিপাকতন্ত্র, শ্বসনতন্ত্র, পেশিতন্ত্র ইত্যাদি।
2. পেশির শক্তি ও সহনশীলতা বৃদ্ধি।
৩। চাপ নিয়ন্ত্রণ।
৪। গতিহীনতার রোগ হতে মুক্তি।
৫। বয়স ও লিঙ্কা অনুযায়ী সঠিক ওজনে পৌঁছোনো।
●শারীরিক বিকাশ :
১। সৌন্দর্যমণ্ডিত দেহভঙ্গি লাভ।
২। শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশ।
●সামাজিক বিকাশ :
১। দারিদ্র্য দূরীকরণ ঘটে
২। সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাবের উন্নতি ঘটে।
● মানসিক বিকাশ :
১. যে-কোনো পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি।
২. দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি।
(২) মোহনবাগান স্পোর্টিং ক্লাব সম্বন্ধে যা জান লেখো।
উত্তরঃ ভারতের শাসনভার তখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে। আর কলকাতা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সদর দপ্তর। আর এই ইংরেজ সাহেবদের খেলার মাধ্যমেই কলকাতায় ফুটবলের গোড়াপত্তন। শোনা যায়, সম্ভবত ১৮৫৪ সালের এপ্রিল মাসে ময়দানে হাওয়া ভরতি গোল চামড়ার বল দিয়ে ইংল্যান্ড থেকে আসা ইটনের প্রাক্তন ছাত্ররা ‘ইটোনিয়ান্স’ নামে একটি দল গড়ে ফুটবল খেলতে নেমেছিল একটি শ্বেতাঙ্গ দলের সঙ্গে। ঊনবিংশ শতাব্দীর সত্তরের দশকের শেষ দিকে নগেন্দ্রপ্রসাদ কলকাতায় গড়েছিলেন বয়েজ স্পোর্টিং ক্লাব।
এরপর,১৮৮৯ সালের আগস্ট মাসে ১৪ নং বলরাম ঘোষ স্ট্রিট-এর ভূপেন্দ্রনাথ বসুর বাড়ির সভাতেই স্থির হল মোহনবাগান ভিলায় যারা খেলছে তাদের নিয়ে গড়া হবে একটি ক্রীড়া সংগঠন। যার নাম ‘মোহনবাগান স্পোর্টিং ক্লাব’। ভূপেন্দ্রনাথ বসু হলেন মোহনবাগান স্পোর্টিং ক্লাবের প্রথম সভাপতি এবং প্রথম সম্পাদক যতীন্দ্রনাথ বসু। আর ক্লাবের প্রথম ফুটবল অধিনায়ক হলেন মনিলাল সেন ।
১৯০৭ সাল থেকে পরপর তিনবার মোহনবাগান ট্রেডস কাপ জেতার পর, সাহেবদের হারাবার স্বপ্নে বিভোর মোহনবাগান আই.এফ.এ. শিল্ড-এও খেলবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। মোহনবাগান আই.এফ.এ. শিল্ডে সেবার গর্ডন হাইল্যান্ডসকেও হারিয়ে দিয়েছিল। ১৯১১ সালে মোহনবাগান অপ্রতিরোধ্য গতিতে আই.এফ.এ. শিল্ডে অংশগ্রহণ করে। শিল্ডের প্রথম রাউন্ডের খেলায় সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের বিরুদ্ধে মোহনবাগান তিন গোলে জয়লাভ করে। রেঞ্জার্সকে ২-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে মোহনবাগান। শক্তিশালী রাইফেল ব্রিগেডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল মোহনবাগান। মিডলসেক্স-এর বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে জয়লাভ করে ফাইনালে উঠল মোহনবাগান।)
শুরু হল ১৯১১ সালের আই.এফ.এ. শিল্ডের ফাইনাল খেলা। খেলা শেষে আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি।মোহনবাগানের খেলোয়াড় অভিলাষ ঘোষ বল ঠেলে দিলেন বিপক্ষের গোলে আর তখনই অসম্ভব সম্ভব হওয়ার আনন্দে উদ্বেলিত সকল বাঙালি। ত শুধুই মোহনবাগানের জয়ধ্বনি) ।মোহনবাগানের শিল্ড জয়ের বিজয়োৎসবে মুখরিত সমগ্র বাংলা। সমগ্র দেশে এসেছিল অকাল দীপাবলী।ইস্ট ইয়র্ক-কে হারিয়ে দেশের মানুষের মনে দেশাত্মবোধ, বৈপ্লবিক চেতনা জাগিয়ে তুলতে সমর্থ হয়েছিল মোহনবাগান।
Comments
Post a Comment