Class 8: অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও ভূগোল মডেল এক্টিভিটি টাস্ক part-8 প্রশ্ন উত্তর-geographyhonour
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :
১.১ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো--
ক) অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডল পদার্থের তরল অবস্থা
খ) বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল – পদার্থের ঘনত্ব সর্বাধিক
গ) অ্যাস্সেনোস্ফিয়ার পরিচলন স্রোতের সৃষ্টি
ঘ) ভূত্বক লোহা ও নিকেলের আধিক্য
উত্তরঃ--গ) অ্যাস্সেনোস্ফিয়ার পরিচলন স্রোতের সৃষ্টি
How to Creat a Website : website বানানো এখন খুবই সহজ,এর জন্য প্রয়োজন Domain &Hosting
১.২ রকি ও আন্দিজ পর্বতমালার সৃষ্টি হয়েছে – -
ক) মহাসাগরীয় মহাসাগরীয় অপসারী পাতসীমানা বরাবর
(খ) মহাসাগরীয় মহাসাগরীয় অভিসারী পাতসীমানা বরাবর
গ) মহাদেশীয়-মহাদেশীয় অভিসারী পাতসীমানা বরাবর
ঘ) মহাদেশীয় মহাসাগরীয় অভিসারী পাতসীমানা বরাবর
উত্তরঃ-ঘ) মহাদেশীয় মহাসাগরীয় অভিসারী পাতসীমানা বরাবর
১.৩ উত্তর ভারতের স্থলভাগের সীমানা রয়েছে –
ক) পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে
খ) নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে
গ) বাংলাদেশ ও ভুটানের সঙ্গে
ঘ) মায়ানমার ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে
উত্তরঃ-খ) নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে
১.৪ করুটীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত নিয়ত বায়ু হলো
ক) দক্ষিণ-পূর্ব আয়নবায়ু
খ) উত্তর-পূর্ব আয়নবায়
গ) দক্ষিণ-পশ্চিম পশ্চিমাবায়ু
ঘ) উত্তর-পশ্চিম পশ্চিমাবায়ু
উত্তরঃ-খ) উত্তর-পূর্ব আয়নবায়
১.৫ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো
ক) বজ্রপাতসহ প্রবল বৃষ্টি – সিরাস মেঘ
খ) জলীয় বাষ্পের জলকণায় পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া – বাষ্পীভবন
গ) বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল পর্বতের প্রতিবাত ঢাল
ঘ) ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে সর্বনিম্ন বায়ুচাপ – ঘূর্ণবাতের চোখ
উত্তরঃঘ) ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে সর্বনিম্ন বায়ুচাপ – ঘূর্ণবাতের চোখ
১.৬ পৃথিবীর বৃহত্তম মিষ্টি জলের হ্রদ হলো
ক) হরণ
খ) ইরি
গ) সুপিরিয়র
(ঘ) মিশিগান
উত্তরঃ গ) সুপিরিয়র
১.৭ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো
ক) নিরক্ষীয় অঞ্চল – সূর্যের তির্যক রশ্মি
খ) নিরক্ষীয় অঞ্চল বায়ুর উচ্চচাপ
গ) মেরু অঞ্চল বায়ুর উচ্চচাপ
ঘ) মেরু অঞ্চল সূর্যের লম্ব রশ্মি
উত্তরঃ গ) মেরু অঞ্চল বায়ুর উচ্চচাপ
১.৮ উত্তর আমেরিকার আলাস্কা যে জলবায়ুর অন্তর্ভুক্ত তা হলো।
ক) ক্রান্তীয় জলবায়ু
খ) লরেন্সীয় জলবায়ু
গ) ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু
ঘ) তুণ্ড জলবায়ু
উত্তরঃ ঘ) তুণ্ড জলবায়ু
১.৯ দক্ষিণ আমেরিকার লাপ্পাটা নদী অববাহিকায় অবস্থিত বিস্তীর্ণ তৃণভূমি হলো
ক) গ্রানচাকো
খ) পম্পাস
গ) ল্যানোস
ঘ) সেলভা
উত্তরঃ খ) পম্পাস
Other Question : Class 8: অষ্টম শ্রেণীর স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা মডেল এক্টিভিটি টাস্ক প্রশ্ন উত্তর(Part-8) --geographyhonour
শূণ্যস্থান পূরণ করো :
২.১ উত্তর-পশ্চিম ভারতে প্রবাহিত একটি স্থানীয় বায়ু হলো_____লু______
২.২ কোনো একটি নির্দিষ্ট সময়ে সমপরিমাণ বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থানগুলিকে মানচিত্রে_______সমবর্ষণ______________ রেখার সাহায্যে যুক্ত করা হয়।
২.৩ দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ পর্বতের পশ্চিমে অবস্থিত পৃথিবীর অন্যতম শুষ্ক অঞ্চল,______আটাকামা_________. মরুভূমি।
বাক্যটি সত্য হলে 'ঠিক' এবং অসত্য হলে 'ভুল' লেখো :
৩.১ রাত্রিবেলা স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে সমুদ্রবায়ু প্রবাহিত হয়। --------->ভুল
৩.২ আপেক্ষিক আর্দ্রতার সাথে উন্নতার সম্পর্ক ব্যস্তানুপাতিক। -----------> ঠিক
৩.৩ জুলাই-অগাস্ট মাসে আর্জেন্টিনায় গ্রীষ্মকাল বিরাজ করে।------------------->ভুল
৪. একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও :
৪.১ রিখটার স্কেলের সাহায্যে কী পরিমাপ করা হয়?
রিখটার স্কেলের সাহায্যে ভূমিকম্পের তীব্রতা পরিমাপ করা হয়?
৪.২ গ্রানাইট শিলা গঠনকারী একটি খনিজের নাম লেখো।
গ্রানাইট শিলা গঠনকারী একটি খনিজের নাম -কোয়ার্টাজ
৪.৩ ভারতের কোন প্রতিবেশী দেশ মশলা উৎপাদনে বিখ্যাত?
ভারতের শ্রীলঙ্কা প্রতিবেশী দেশ মশলা উৎপাদনে বিখ্যাত ।
OTHER POST |
৫. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৫.১ ভূ-অভ্যন্তরের কোন স্তরে কীভাবে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়েছে?
উত্তরঃ. বহিঃকেন্দ্রমণ্ডলে পৃথিবীর চৌম্বকক্ষত্রের সৃষ্টি হয়েছে।
বহিঃকেন্দ্রমণ্ডলের চাপ, তাপ ও ঘনত্ব অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডলের তুলনায় কম। এই স্তর অর্ধকঠিন অবস্থায় পৃথিবীর অক্ষের চারিদিকে ঘুরছে। সান্দ্র অবস্থায় থাকা লোহা প্রচন্ড গতিতে ঘুরতে ঘুরতে বৈদ্যুতিক কেন্দ্র তৈরি করেছে এবং সেখান থেকেই সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র |
৫.৩ উত্তর আমেরিকার প্রেইরি সমভূমি দুগ্ধশিল্পে উন্নত কেন?
উত্তরঃ আমেরিকা মহাদেশের মধ্যভাগের সমভূমি অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে প্রেইরি সমভূমি অবস্থিত।বসন্তকালে বরফ গলে যাওয়ার পর এই তৃণভূমিতে জন্মায় হে, ক্লেভার, আলফা আলফা তৃণ,ভুট্টা ইত্যাদি।তাই এই তৃণভূমি পশুচারণক্ষেত্র হিসেবে বিখ্যাত। পশুজাত দ্রব্য যেমন দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য সংরক্ষনের জন্য এখানে হিমাগার গড়ে উঠেছে।এইসব উত্তর আমেরিকা মহাদেশের মধ্যভাগের সমভূমি অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে প্রেইরি সমভূমি অবস্থিত।বসন্তকালে বরফ গলে যাওয়ার পর এই তৃণভূমিতে জন্মায় হে, ক্লেভার, আলফা আলফা তৃণ,ভুট্টা ইত্যাদি।তাই এই তৃণভূমি পশুচারণক্ষেত্র হিসেবে বিখ্যাত। পশুজাত দ্রব্য যেমন দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য সংরক্ষনের জন্য এখানে হিমাগার গড়ে উঠেছে।এইসব কারণের জন্য এই অঞ্চল দুগ্ধ শিল্পে উন্নত।
৫.২ পাকিস্তানে জলসেচের সাহায্যে কীভাবে কৃষিকাজ করা হয়?
উত্তরঃ বৃষ্টিপাতের পরিমান কম হওয়ায় পাকিস্তানে কৃষিকাজ মূলত জলসেচের উপর নির্ভরশীল। পাকিস্তানে জলসেচ খালের মাধ্যমে হয়ে থাকে। সিন্ধু নদী ও তার উপনদীগুলিতে বাঁধ দিয়ে জলাধার তৈরি করা হয়ছে এবং সেখান থেকে একাধিক সেচ খাল কাটা হয়েছে।তবে পশ্চিমের শুষ্ক অঞ্চলে মাটির নীচে সুড়ঙ্গ কেটে কৃষিক্ষেত্রে জল নিয়ে যাওয়া হয়, যাকে বলে ক্যারেজ প্রথা ।
৫.৪ সব মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় না কেন?
উত্তরঃ জলীয়বাষ্প উপরে উঠে শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে ঘনীভূত হয় এবং বায়ুতে ভাসমান ধূলিকণা কে আশ্রয় করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণা বা তুষার কনায় পরিণত হয়। এই জলকণা বা তুষারকনার সমষ্টিকে বলে মেঘ। মেঘ সৃষ্টিকারী জলকণাগুলি বিভিন্ন কারণে সংযুক্ত হয় যেমন- বিদ্যুৎ মোক্ষণের জন্য বা ঊর্ধ্বমুখী বায়ুপ্রবাহ খুব শীতল হওয়ার জন্য। যেহেতু সব মেঘে জলকণা সংযুক্তির অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয় না তাই সব মেঘে বৃষ্টি হয় না।
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৬.১ অভিসারী পাতসীমানাকে কেন বিনাশকারী পাতসীমানা বলা হয় তা উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ অভিসারী পাতসীমান্তকে ‘বিনাশকারী পাত সীমান্ত’ বলার কারণ --
● মহাদেশীয় ও মহাসাগরীয় পাত পরস্পরের দিকে অগ্রসর হলে ভারী মহাসাগরীয় পাত, মহাদেশীয় পাতের নীচে প্রবেশ করে ও সামুদ্রিক খাত সৃষ্টি করে। যেমন— প্রশান্ত মহাসাগরের মারিয়ানা খাত।
● নিমজ্জিত পাতের কিছু অংশ অ্যাথেনোস্ফিয়ারে প্রবেশ করে অত্যধিক উয়তায় গলতে থাকে।
এইভাবে দুটি পাতের সংঘর্ষ হলে নিমজ্জিত অংশটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। তাই অভিসারী পাতসীমানাকে বিনাশকারী বা ধ্বংসাত্মক পাতসীমানা (Destructive Plate Margin) বলে।
৬.২ 'আমাজন অববাহিকার ক্রান্তীয় বৃষ্টিঅরণ্য দুর্গম প্রকৃতির ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ আমাজন অববাহিকার ক্রান্তীয় বৃষ্টি অরণ্য নিরক্ষরেখার উভয় পাশে অবস্থিত হওয়ায় ওই অঞ্চলে সারাবছর সূর্য লম্বভাবে পড়ে ফলে উষ্ণতা সবসময় বেশি (প্রায় 27°C)থাকে। এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় (বার্ষিক 200-250cm প্রায়)। তাই এখানে চিরহরিৎ গাছের বনভূমির সৃষ্টি হয়েছে। গাছের গুড়ি গুলি খুব লম্বা, মোটা আর পাতাগুলো চওড়া হয়।গাছগুলি ঘন সন্নিবিষ্ট হওয়ায় অরন্যের ওপর চাঁদোয়ার মতো ঢেকে যায় এবং এর মধ্য দিয়ে সূর্যের আলো বনভূমির তলদেশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। ফলে তলদেশ স্যাঁতসোঁতে ও অন্ধকার থাকে এবং এই অঞ্চলে জন্মায় লতা, গুল্ম, পরগাছা ইত্যাদি। এইসব প্রতিকূলতাই ক্রান্তীয় বৃষ্টি অরণ্যকে করে তুলেছে দুর্গম।
৬.৩ পম্পাস অঞ্চলকে দক্ষিণ আমেরিকার শস্য ভাণ্ডার বলা হয় কেন?
উত্তরঃ দক্ষিণ আমেরিকার পম্পাস অঞ্চল কৃষিকাজে বেশ উন্নত। এখানকার নদী গঠিত উর্বর পলি মৃত্তিকা, পরিমিত বৃষ্টিপাত কৃষিকাজের পক্ষে অনুকূল। প্রধান কৃষিজ ফসল হলো গম। এছাড়াও ভুট্টা, বার্লি, আখ, নানারকম ফল প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয়। আর্জেন্টনায় এতো বেশি পরিমাণ গম উৎপন্ন হয় যে দেশটি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গম রপ্তানি কারক দেশে পরিণত হয়েছে। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও উন্নত প্রথায় এখানে কৃষিকাজ করায় উৎপাদনের পরিমাণ বেশি। তাই পম্পাস অঞ্চলকে দক্ষিণ আমেরিকার শস্য ভান্ডার বলে।
৭. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৭.১ উদাহরণসহ উৎপত্তি অনুসারে আগ্নেয়শিলার শ্রেণিবিভাগ করো।
উত্তরঃ উৎপত্তি ও গঠন অনুসারে আগ্নেয় শিলাকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা—
1. নিঃসারী আগ্নেয় শিলা (Extrusive Igneous Rock) :
2. উদ্বেধী আমের শিলা (Intrusive Igneous Rock) :
ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা অনেক সময় ভূপৃষ্ঠে পৌঁছোতে না পেরে ভূ-অভ্যন্তরের ফাটলের মধ্যে সঞ্চিত হয় এবং ধীরে ধীরে শীতল ও কঠিন হয়ে যে শিলার সৃষ্টি করে, তাকে উদ্বেধী আগ্নেয় শিলা বলে। ধীরে ধীরে জমাট বাঁধে বলে কণাগুলি বড়ো আকৃতির হয়। উদাহরণ : গ্রানাইট।
উৎপত্তিস্থলে শিলার গভীরতার ভিত্তিতে এই শিলাকে দুভাগে ভাগ করা যায়। যথা—
<I) পাতালিক শিলা (Plutonic Rock) :
যে শিলা ভূপৃষ্ঠের অনেক নীচে (10 কিমি অধিক) ম্যাগমা জমাটবদ্ধ হয়ে সৃষ্টি হয়, তাকে পাতালিক শিলা বলে। এই শিলা ধীরে ধীরে শীতল হয় বলে এর কণাগুলি বড়ো আকৃতির হয়। তাই এদের কেলাসিত শিলাও (Crystalline Rock) বলা হয়। উদাহরণ: গ্রানাইট, গ্যাব্রো, পেরিডোটাইট।
ii) উপাত্তালিক শিলা (Hypabyssal Rock):
যেসব উদ্বেধী শিলা ভূপৃষ্ঠের খুব কাছাকাছি ম্যাগমা জমাটবদ্ধ হয়ে সৃষ্টি হয়, তাকে উপপাতালিক শিলা বলে। অতি দ্রুত শীতল ও জমাটবদ্ধ হয় বলে এই প্রকার শিলার কণাগুলি অপেক্ষাকৃত সূক্ষ্ম আকৃতির হয়। উদাহরণ : পরফাইরি, ডোলেরাইট।
৭.২ 'বায়ুচাপ বলয়গুলির অবস্থান পরিবর্তন দুই গোলার্ধের ৩০° থেকে ৪০° অক্ষরেখার মাঝের স্থানগুলির জলবায়ুর উপর বিশেষ প্রভাব ফেলে'— উপযুক্ত উদাহরণসহ বিষয়টি ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ বায়ুর চাপ বায়ুর উয়তার ওপর নির্ভর করে এবং বায়ুর উয়তা নির্ভর করে বিভিন্ন অক্ষাংশে সূর্যরশ্মির পতনকোণের ওপর। সূর্যের বার্ষিক আপাতগতির (রবিমার্গ) জন্য একই অক্ষাংশে প্রতিদিন মধ্যাহ্নে সূর্যরশ্মির পতনকোণের মান এক হয় না। ফলে, অক্ষাংশভেদে বায়ুর উয়তার পরিবর্তন ঘটে, যার জন্য চাপেরও পরিবর্তন ঘটে।
এই কারণে সূর্যের উত্তরায়ণের সময় বায়ুচাপ বলয়গুলি 5°-10° উত্তরে এবং দক্ষিণায়নের সময় বায়ুচাপ বলয়গুলি 5°-10° দক্ষিণে ক্রমশ সরে যায়। একেই বলে বায়ুচাপ বলয়ের সীমানা/স্থান পরিবর্তন। এর সঙ্গে সঙ্গে নিয়ত বায়ুপ্রবাহও তার স্থান পরিবর্তন করে। তবে নিরক্ষীয় ও ক্রান্তীয় চাপবলয়গুলি উত্তর-দক্ষিণে বেশি সরে, মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় ও মেরুদেশীয় চাপবলয়গুলি তুলনায় কম সরে। সাধারণত উভয় গোলার্ধে 25°-40° অক্ষরেখার মধ্যবর্তী অঞ্চলে এই প্রভাব বেশি দেখা যায়।
প্রভাব : সূর্যের উত্তরায়ণের** সময় নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় 5°-10° উত্তরে সরে যাওয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ু নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে উত্তর গোলার্ধে প্রবেশ করে ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। আবার, এই সময় কৰ্কটীয় উচ্চচাপ বলয় উত্তরে সরে যাওয়ায় ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে গ্রীষ্মকাল শুষ্ক হয়।
দক্ষিণায়নের** সময় শীতকালে পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে পশ্চিমাংশে বৃষ্টিপাত হয়, কিন্তু পূর্বাংশে বৃষ্টিপাত হয় না। আবার, গ্রীষ্মকালে আয়ন বায়ু উত্তরে সরে গেলে এই অঞ্চলের পূর্বভাগে বৃষ্টিপাত হয় (যেমন— আর্জেন্টিনার দক্ষিণাংশ বা সুদান), কিন্তু পশ্চিমভাগে বৃষ্টিপাত হয় না (যেমন- চিলির দক্ষিণাংশ)। সুতরাং, সূর্যের আপাত বার্ষিক গতির সঙ্গে বায়ুর চাপবলয়গুলি ও নিয়ত বায়ুপ্রবাহ বিশেষভাবে সম্পর্কিত। শুধু তাই নয়, বৃষ্টিপাতও সূর্যের অবস্থান দ্বারা প্রভাবিত হয়। তাই বলা হয়, ‘বৃষ্টিপাত সূর্যকে অনুসরণ করে' (Rain follows the sun) ।
৭.৩ চিত্রসহ শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত সৃষ্টির প্রক্রিয়াটি বর্ণনা করো।
উত্তরঃ. ‘শৈল’ শব্দের অর্থ ‘পর্বত’ এবং উৎক্ষেপ’-এর অর্থ উপরে ওঠা’। সাধারণ জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু পর্বতে বাধা পেয়ে উপরে উঠে ঘনীভূত হয়ে যে বৃষ্টিপাত ঘটায়, তাকে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত বলে।
সৃষ্টির পরিবেশ : 1. সমুদ্র নিকটবর্তী সুউচ্চ পর্বতের অবস্থান, 2. সমকোণে প্রবল জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু পর্বত দ্বারা বাধা পেয়ে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টির পরিবেশ সৃষ্টি করে।
পদ্ধতি : সমুদ্র থেকে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু তার প্রবাহপথে আড়াআড়িভাবে অবস্থিত কোনো পর্বতে বাধা পেলে পর্বতের গা বেয়ে উপরে উঠে যায়। ঊর্ধ্বগামী এই বায়ু প্রসারিত ও শীতল হতে থাকে এবং বায়ুস্থিত জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে জলকণায় পরিণত হয়। এই জলকণাগুলি পরস্পর যুক্ত হয়ে ক্রমশ বড়ো হতে থাকে এবং পর্বতের যে ঢাল বেয়ে বায়ু উপরে উঠে এসেছে, সেই প্রতিবাত ঢালে (Windward Side) প্রচুর শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটায়। পর্বত অতিক্রম করে এই বায়ু যখন বিপরীত ঢাল অর্থাৎ, অনুৰাত ঢালে (Leeward Side) এসে পৌঁছায় তখন তাতে আর জলীয় বাষ্প থাকে না। তা ছাড়া নীচের দিকে নামতে থাকায় বায়ু ক্রমশ উয় হতে থাকে, ফলে, ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তাই এই ঢালে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। একে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল (Rainshadow Region) বলে।
+ উদাহরণ : • ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসি পাহাড়ের প্রতিবাত ঢালে অবস্থিত চেরাপুঞ্জির মৌসিনরামে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাধা পেয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত ঘটায়। কিন্তু শিলং বিপরীত পাশে থাকায় সেখানে বৃষ্টিপাত কম হয়। ও দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আরবসাগরীয় শাখা পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢালে বাধা পেয়ে প্রচুর শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটায়, কিন্তু পূর্ব ঢালে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল সৃষ্টি হয়েছে।
খুব সুবিধা হলো অনেক ধন্যবাদ।🥰
ReplyDeleteThanks for your Valuable Comment 🧡,
ReplyDeleteThank you
ReplyDelete