উৎপত্তি অনুসারে আগ্নেয়গিরির শ্রেণিবিভাগ
উৎপত্তি অনুসারে আগ্নেয়গিরির শ্রেণিবিভাগ :
ভস্ম ও সিন্ডার শঙ্কু বিশিষ্ট আগ্নেয়গিরি (Ash and Cinder Cone Volcano) : ভূগর্ভ থেকে নির্গত পদার্থসমূহ ভূপৃষ্ঠের ফাটল বা ছিদ্রপথের চারপাশে সঞ্চয়ের ফলে সৃষ্ট মোচাকৃতি আগ্নেয়গিরি। অগ্ন্যুগমের সময় উৎক্ষিপ্ত পদার্থ (পাইরোক্লাস্ট) বিশেষত ভস্ম, সিন্ডার প্রভৃতি পদার্থসমূহ জমাট বেঁধে গড়ে ওঠে বলে একে (Pyroclast Cone) বলা হয়। উদাহরণ – মেক্সিকোর পারিকুটিন।
লাভা শঙ্কু বিশিষ্ট আগ্নেয়গিরি (Lava Cone Volcano) :
ভূপৃষ্ঠের ছিদ্রপথে কোনো বিস্ফোরণ না ঘটিয়ে তরল লাভা ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসে এবং ছিদ্রপথের চারিদিকে সঞ্ছিত হয়ে এই জাতীয় আগ্নেয়গিরি গঠন করে। লাভার প্রকৃতি অনুযায়ী এই আগ্নেয়গিরি দুধরনের – (i) ক্ষারকীয় লাভা দ্বারা গঠিত শিল্ড আগ্নেয়গিরি (Shield Volcano) (ii) সা আম্লিক লাভা দ্বারা গঠিত গম্বুজাকৃতি আগ্নেয়গিরি (Steep Dome)। যেমন- হাওয়াই দ্বীপের মৌনালোয়া।
● বিস্ফোরণ ছিদ্রেপথ বিশিষ্ট আগ্নেয়গিরি (Explosion Vent or Pit Volcano):
কেন্দ্রীয় অগ্ন্যুৎপাতের ফলে হয়ে একটি ছিদ্রপথের সৃষ্টি হয় এবং একটি নীচু জ্বালামুখ তৈরি হয়। ওই জ্বালামুখের চারিদিকে খণ্ডিত শিলা জমাট বেঁধে এই জাতীয় আগ্নেয়গিরি সৃষ্টি হয়। উদাহরণ – আইসল্যান্ডের ক্লাফলা। • শুন আগ্নেয়গিরি বা মस শঙ্কু বিশিষ্ট আগ্নেয়গিরি
Comments
Post a Comment