#Scope Of Geomorphology Pdf (ভূমিরূপবিদ্যার পরিধি)
◆ভূমিরূপবিদ্যার পরিধি (Scope of Geomorphology) :
ভূমিরূপবিদ্যার পরিধি (Scope of Geomorphology) খুবই বিস্তৃত। ভূমিরূপবিদ্যা শুধুমাত্র ভূমিরূপকে আলো করে না, তার সঙ্গে ভূমিরূপের উৎপত্তি ও বিবর্তনকে ব্যাখ্যা করে এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক পদ্ধতি দ্বারা কিভাবে ভূমিরূপ এর বর্তমান অবস্থা প্রাপ্ত হয়েছে, সেই বিষয়গুলোকেও বিশ্লেষণ করে। 1965 সালে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিরূপ বিজ্ঞানী এস. এ. সুম (S. A. Schumm, 1927-2011) এবং আর. ডব্লিউ. লিচি (R. W. Lichty) ভূমিরূপ বিকাশে সময় ও দেশ (Time and space) এর গুরুত্ব আলোচনা করেছিলেন। তাঁদের মতে ‘Landform is a function of Time and Space”। তাঁদের মতে ভূমিরূপ বিকাশের ক্ষেত্রে যে মডেল গঠন করা হয়, তা সময়ের (Time) পরিধির উপর নির্ভরশীল। সাধারণভাবে স্বল্প সময়ের মধ্যে ভূমিরূপের বৈশিষ্ট্য কোন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে না, কারণ প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া গুলো যে শক্তি প্রয়োগ করে, তা গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটানোর পক্ষে যথেষ্ট নয় অথবা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া গুলো প্রত্যাশিত যথেষ্ট সময় ধরে কাজ করার সুযোগ পায়নি। ভূমিরূপ প্রক্রিয়ার কাজের হারে যেকোন পরিবর্তন ভূমিরূপে পরিবর্তনের সূচনা করে বলে মনে করা হয়। দীর্ঘ বা স্বল্প সময় ধরে ভূমিরূপের পরিবর্তনশীলতাকে বোঝ জন্য নিম্নলিখিত দুটি বিষয় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
1.3.1 সময় স্কেল (Time scale) :
1.3.2 দৈশিক স্কেল (Spatial Scale) :
◆1.3.1 সময় স্কেল (Time Scale) :
ভূমিরূপ পরিবর্তনে বা ভূমিরূপ প্রক্রিয়ার হার নির্ধারণে সময়ের এর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত খুব অল্প সময়ে ভূমিরূপের পদ্ধতির হারের বা ভূমিরূপের কোনো পরিবর্তন হয় না। ভূমিরূপ পদ্ধতির হারের কোনো পরিবর্তন হলে ভূমিরূপ কখনো দ্রুত সাড়া দেয়, আবার কখনো ভূমিরূপ প্রক্রিয়ার হারের পরিবর্তনে ভূমিরূপের কোনো পরিবর্তন হয় না। যাকে মৃত সময় (Dead Time) বলে। যখন প্রক্রিয়ার পরিবর্তন পরিস্ফুট হওয়ার জন্য ভূমিরূপে কোন কিছুই ঘটে না। বহিরাগত কোন পরিবর্তনের ফলে সাড়া দেওয়ার জন্য প্রনালী যে সময় নেয় তাকে প্রতিক্রিয়া সময় (Reaction Time) বলে।
◆1.3.2 দৈশিক স্কেল (Spatial Scale) :
ভূমিরূপবিদ্যায় দৈশিক স্কেল এর ধারণা সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ভূমিরূপ ও ভূমিরূপ প্রক্রিয়ার চর্চার বিষয়বস্তু ও দৃষ্টিভঙ্গীর তারতম্যর কারণে নির্দিষ্ট আয়তনের আদর্শ ভূমিরূপ এককের নির্বাচনের ধারণা সর্বদাই পরিবর্তন হচ্ছে। ঐতিহাসিক দিক থেকে দৈশিক স্কেলের ধারণার যথেষ্ট তারতম্যতা লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন ভূমিরূপবিদ যেমন— এফ.এম.ফ্যানিম্যান (F.M. Fanneman, 1914), জে.এফ.গিলার্ট (J.F. Gellerts, 1982), বোরনে (Bourne, 1932), আর.ই. হর্টন (R.E. Horton, 1945) প্রমুখ যারা ভূমিরূপকে বিভিন্ন দৈশিক স্কেলে ভাগ করার চেষ্টা করেছেন। ভূমিরূপের আকার বা আয়তন এর ওপর ভিত্তিতে ভূমিরূপকে বড় থেকে ছোটো এককে ভাগ করার পদ্ধতিকেই দৈশিক স্কেল (Spatial Scale) বলে। আয়তন অনুযায়ী বিভিন্ন ক্রমের ভূমিরূপকে চিহ্নিত করা হয়, যা আবরণ পঠন-পাঠন, গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন দিক উন্মোচিত করেছে।
Comments
Post a Comment